Health-and-Nutrition/C2/Non-vegetarian-recipes-for-6-month-old-babies/Bengali
From Script | Spoken-Tutorial
|
|
00:00 | “৬ মাসের শিশুর জন্য আমিষ রেসিপি” তৈরির “মৌখিক টিউটোরিয়ালে” আপনাকে স্বাগত জানাই |
00:08 | এই টিউটোরিয়ালে, আমরা শিখবো- শিশুর জন্য আমিষ পরিপূরক আহার প্রদানের গুরুত্ব এবং |
00:17 | কিভাবে আমরা আমিষ পরিপূরক আহার তৈরি করবো যেমন- |
00:22 | ডিমের পিউরি |
00:24 | মাছের পিউরি
কাঁচা কলা দিয়ে ফিশ পরিজ |
00:27 | চিকেন লিভার পিউরি ও চিকেন আর গাজরের পিউরি |
00:31 | তাহলে আসুন শুরু করা যাক-সব সময় মনে রাখবেন যে আপনার শিশু ৬ মাস বয়সের হয়ে গেলে, তাঁর পুষ্টিপদার্থের চাহিদা বিপুল পরিমানে বৃদ্ধি পায়। |
00:42 | পরিপূরক আহার থেকে তাঁর ২০০ ক্যালোরি পর্যন্ত শক্তির প্রয়োজন হয় |
00:48 | বুকের দুধ খাওয়ানোর সঙ্গে সঙ্গে, পরিপূরক আহার দেওয়া শুরু করতে হবে। |
00:53 | এগুলি ছাড়াও, ধীরে ধীরে শিশুর বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে- খাবারের পরিমাণ ও ধরন পাল্টাতে হবে |
01:03 | অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে, শিশুকে খাওয়ানোর সময়, খাবারের পরিমাণ সব সময় কাপ ও চামচের হিসাবে পরিমাপ করতে হবে। |
01:12 | এটি একই সিরিজের অন্য একটি টিউটোরিয়ালে ব্যাখ্যা করা হয়েছে |
01:18 | যখন শিশুর বয়স ৬ মাস পূর্ণ হয়ে যাবে- প্রাথমিকভাবে ১ চামচ করে দিনে দু’বার খাওয়ান।, তারপর ধীরে ধীরে তা দিনে ৪ চামচ পর্যন্ত বাড়ান |
01:29 | এবং শুধুমাত্র ভালো ভাবে রান্না করা, পিউরি আকারে অর্থাৎ তরল আকারে খাবার তাকে দিতে হবে |
01:35 | এখন আমরা দেখবো, যে কিভাবে আমিষ খাবার শিশুর জন্য গুরুত্বপূর্ণ |
01:40 | সব আমিষ খাবারেই উপযুক্ত পরিমানে ফ্যাট, প্রোটিন ও অন্যান্য মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে। |
01:48 | এই পুষ্টিপদার্থগুলি শিশুদের যথার্থ বিকাশ ও উন্নতির জন্য প্রয়োজনীয় ও মস্তিষ্কের গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ |
01:57 | শিশুদের এই অবস্থায় যে সব খাবারের সুপারিশ করা হয় তা হল খাঁচার মধ্যে না থাকা মুরগীর |
02:02 | ডিম, মাংস এবং খোলক বিশিষ্ট মাছ ছাড়া সব ধরনের মাছ , খোলক বিশিষ্ট মাছ বা শেল ফিস দেওয়া যেতে পারে ১ বছর বয়সের পর থেকে |
02:12 | শিশুকে আমিষ খাবার দেওয়ার আগে নীচের বিষয়গুলি মনে রাখবেন |
02:18 | কোন ধরনের প্রসেসড মাংস এবং কাঁচা খাবার শিশুকে দেবেন না |
02:23 | খাবার ভালোভাবে রান্না করা হতে হবে |
02:26 | সবথেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হল, শিশুর খাবার রান্না করার সময়- সব সময় মাইক্রোওয়েভ ওভেন ব্যবহার করা এড়িয়ে চলবেন |
02:34 | আমরা ৬ মাসের শিশুর নানা প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করেছি এবং তাঁদের জন্য আমিষ খাবার কতটা গুরুত্বপূর্ণ তা নিয়েও কথা বলেছি |
02:43 | এখন আমরা দেখবো যে, কিভাবে এই আমিষ পরিপূরক আহার তৈরি করা যায় |
02:48 | তাহলে আসুন আমাদের প্রথম রেসিপি এগ পিউরি |
02:53 | এগ পিউরি বানানোর জন্য প্রথমেই যা লাগবে তা হল, -
১টি ডিম এবং ১/২ (অর্ধেক) চা চামচ ঘি অথবা মাখন |
03:01 | এটি প্রস্তুত করতে, ডিম নিয়ে সেটিকে ভালো করে একটি পাত্রে ফেটিয়ে নিন |
03:06 | এরপর, স্টিলের পাত্রে ঘি গরম করুন।
ফেটানো ডিম স্টিলের পাত্রে ঢেলে নিন এবং কম আঁচে নাড়াতে থাকুন |
03:15 | আঁচ থেকে সেটিকে মাঝে মাঝে সরিয়ে নিন কারণ একটানা তাপের মধ্যে রাখলে এতে এগ পিউরি পুড়ে যেতে পারে |
03:21 | মিশ্রণটিকে নাড়াতে থাকুন এবং তা ঘন হওয়া পর্যন্ত রান্না করুন |
03:25 | আঁচ বন্ধ করে দিন, এবং আপনার এগ পিউরি প্রস্তুত |
03:30 | কিছুক্ষন এটিকে ঠান্ডা করে নিন এবং শিশুকে খাওয়ান |
03:34. | দ্বিতীয় রেসিপি হল, ফিশ পিউরি |
03:37 | এর জন্য আমাদের যা প্রয়োজন তা হল- যেকোন স্থানীয় ভাবে পাওয়া যায় এমন মাছ-
ব্ল্যাক পমফ্রেট বম্বে ডাক হোয়াইট পমফ্রেট এবং স্কুইড |
03:50 | একটি স্টিলের পাত্রে পরিষ্কার করা ২ পিস মাছের টুকরো নিন |
03:54 | জল দিন যাতে মাছটি ডুবে থাকে। স্টিলের পাত্রটিকে একটি প্রেসার কুকারের ভেতরে রাখুন |
04:00 | প্রেসারে সেটিকে ৩ থেকে ৪ হুইশেল দিয়ে রান্না করুন |
04:04 | কিছুক্ষন সেটিকে ঠান্ডা করুন এরপর মাছের টুকরোগুলি বের করে একটি পাত্রে রাখুন |
04:10 | এখন ধীরে ধীরে হাড়গুলি ছাড়িয়ে নিন |
04:13 | শিশুকে খাওয়ানোর আগে এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কারন এগুলি শিশুর গলায় আটকে যেতে পারে |
04:22 | এখন একটি মিক্সারে, সেদ্ধ মাছকে পিউরি বানিয়ে নিন, এরপর শিশুকে খাওয়ান |
04:28 | তৃতীয় রেসিপি হল কাঁচা কলা ফিশ পরিজ |
04:32 | এটি প্রস্তুত করার জন্য, আমাদের ২ চা চামচ কাঁচা কলা গুড়ো প্রয়োজন,
এর সঙ্গেই ৪টি বম্বে ডাক অথবা যে কোন স্থানীয় মাছের ৪টি ছোট টুকরো প্রয়োজন |
04:41 | প্রথমে, আমরা কাঁচা কলা পাউডার দিয়ে শুরু করবো |
04:46 | যে কোন প্রকারের ২টি কাঁচা কলা নেব যা আপনার এলাকাতেই পাওয়া যায় |
04:51 | পিলার দিয়ে খোসা ছাড়িয়ে নেব। এখন, কলাগুলিকে পাতলা টুকরো করে কেটে নেব |
04:58 | স্লাইসগুলিকে ছায়ায় ১ থেকে ২ দিন ধরে শুকিয়ে নেব যতক্ষন না সেগুলি মুচমুচে হয়ে যায় |
05:05 | তারপর এই শুকনো কাঁচা কলা পাউডার বানিয়ে নেব একটি মিক্সারের সাহায্যে |
05:10 | চালুনী দিয়ে চেলে নিয়ে বীজ পৃথক করে দেব |
05:13 | এখন কাঁচা কলার পাউডার ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত |
05:17 | এরপর, ফিস পিউরি বানানোর জন্য- আগের রেসিপিতে বর্ননা করা পদ্ধতি মেনে চলুন |
05:24 | এরপর, একটি পাত্রে ২ চা চামচ কাঁচা কলা পাউডার নিয়ে নিন |
05:29 | ৩ চামচ জল যোগ করুন এবং সেটিকে ভালো করে মিশিয়ে নিন যতক্ষন না তা লেই এর আকারে আসছে |
05:35 | প্রয়োজন হলে আরো জল যোগ করুন |
05:38 | এখন হালকা আঁচে মিশ্রণটিকে ৫ থেকে ৭ মিনিট ধরে রান্না করুন |
05:43 | এরপর, রান্না করা ফিশ পিউরি এতে মিশিয়ে নিন |
05:47 | মিশ্রনটিকে নাড়াতে থাকুন এবং হালকা আঁচে ৪-৫ মিনিৎ ধরে রান্না করুন |
05:53 | কাঁচা কলা ফিস পরিজ প্রস্তুত। কিছুক্ষন সেটিকে ঠান্ডা করে শিশুকে খাওয়ান |
06:01 | আসুন এবার আমরা চতূর্থ রেসিপিতে যাই- চিকেন লিভার পিউরি |
06:06 | এটি বানানোর জন্য, আমাদের ১টি চিকেন লিভার প্রয়োজন |
06:09 | পদ্ধতিঃ পরিষ্কার চিকেন লিভারটিকে একটি স্টিলের পাত্রে নিন |
06:15 | এতির উপর জল ধালুন যাতে তা ডুবে যায় |
06:18 | এখন স্টিলের পাত্রটিকে একটি প্রেসার কুকারের ভেতরে রাখুন |
06:21 | ৩ থেকে ৪টি হুইসেল দিয়ে প্রেসারে রান্না করুন |
06:25 | ঠাণ্ডা হয়ে গেলে, প্লেটের উপরে রাখুন |
06:29 | সেদ্ধ চিকেন লিভারটিকে একটি মিক্সার এর সাহায্যে পিউরি আকারে বানান এবং শিশুকে খাওয়ান |
06:37 | এখন আমরা শিখবো পঞ্চম রেসিপি- যা হোল চিকেন ক্যারট পিউরি |
06:43 | এরজন্য আমাদের প্রয়োজনঃ ৪-৫ টি চিকেন ব্রেস্ট অথবা বোনলেস চিকেন এর ৪-৫টি ছোট টুকরো ও ১টি গাজর |
06:50 | চিকেন এর টুকরোগুলিকে ভালো করে ধুয়ে নিয়ে স্টিলের পাত্রে রাখুন
পাত্রটি ভর্তি করে জল দিন যাতে চিকেনের টুকরোগুলি ডুবে থাকে |
07:00 | এখন, স্টিলের পাত্রটিকে প্রেসার কুকারে রেখে ৩ থেকে ৪টি হুইসেল দিয়ে গরম করুন |
07:07 | কিছুক্ষনের জন্য সেটিকে ঠান্ডা করতে দিন। এরপর চিকেন এর টুকরোগুলি প্লেটে নিয়ে ঠান্ডা হতে দিন |
07:15 | এরপর গাজরটি ১০ মিনিট ধরে সেদ্ধ করে ঠান্ডা করুন |
07:20 | সেদ্ধ চিকেন টুকরো এবং সেদ্ধ গাজরটিকে মিক্সারে পিউরি বানিয়ে নিন |
07:26 | এই সকল রেসিপিগুলির পুষ্টিমূল্যের কথা বলতে গেলে- মনে রাখবেন সবকটি রেসিপি পরিপূর্ণ-
প্রোটিন-এ |
07:36 | “DHA” এবং “EPA” যেগুলি আসলে “ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড” |
07:42 | “চোলিন” |
07:45 | ভিটামিন A |
07:49 | ভিটামিন D |
07:52 | ভিটামিন B3 |
07:57 | ভিটামিন B6 |
08:01 | “ফোলেট” |
08:04 | ভিটামিন B12 |
08:08 | জিঙ্ক |
08:11 | ম্যাগনেসিয়াম |
08:14 | আয়রন |
08:18 | ফসফরাস |
08:21 | কপার ও “সেলেনিয়াম” |
08:28 | এই পুষ্টিগুণগুলি সহজেই আমিষ খাদ্য উৎসে পাওয়া যায়. |
08:33 | কাজেই এগুলি সবই শিশুর বিকাশ ও বৃদ্ধি এবং প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধিতে কাজে লাগে |
08:40 | এর মধ্যে দিয়েই আমরা ৬ মাস বয়সের শিশুদের জন্য আমিষ রেসিপি বানানোর টিউটোরিয়াল সমাপ্ত করছি
আমাদের সঙ্গে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ |