Health-and-Nutrition/C2/Importance-of-Calcium/Bengali

From Script | Spoken-Tutorial
Jump to: navigation, search
Time
Narration
00:00 ক্যালসিয়ামের গুরুত্ব সম্পর্কিত স্পোকেন টিউটোরিয়ালে আপনাদের স্বাগত।
00:06 এই টিউটোরিয়ালে আমরা শিখব:
00:09 আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের ভূমিকা এবং প্রয়োজনীয়তা,
00:13 এটি অভাব হওয়ার লক্ষণ
00:16 এবং অধিক ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাদ্য উৎস।
00:20 ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের অতিশয় প্রয়োজনীয় খনিজ পদার্থ।
00:24 শরীরের 99% ক্যালসিয়াম হাড় এবং দাঁতে পাওয়া যায়।
00:31 বাকি 1% আমাদের রক্তে রয়েছে।
00:34 এটি মল, প্রস্রাব এবং ঘামের মাধ্যমে আমাদের শরীর থেকে বেরোয়।
00:41 ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরের অনেক কাজ করে।
00:45 এর মূল কাজ হল হাড়ের বিকাশ এবং রক্ষণাবেক্ষণ।
00:51 শরীরে অধিক পরিমানে ক্যালসিয়াম থাকলে তা হাড়ে জমা হয়।
00:58 অভাব হলে, এটি হাড় থেকে নেওয়া যেতে পারে।
01:03 ক্যালসিয়াম আমাদের শরীরে স্নায়ু সঙ্কেত পাঠাতে জরুরী।
01:09 এটি মাংসপেশীর গঠন এবং এর চলাচলে সহায়তা করে।
01:14 এটি কাটার পর রক্ত প্রবাহ বন্ধ করতে সহায়তা করে।
01:18 ইনসুলিন এবং অ্যাড্রেনালিনের মত হরমোন নিঃসরণের জন্য ক্যালসিয়ামের প্রয়োজন।
01:27 অন্যান্য উপকারিতা হল শরীরের ওজন, রক্তচাপ এবং হৃদয়ের স্বাস্থ্য বজায় রাখা।
01:34 বিভিন্ন বয়সের গ্রুপের লোকেদের ক্যালসিয়াম গ্রহণের পরিমাণ ভিন্ন হয়।
01:41 শৈশবকাল এবং কৈশোরের মত দ্রুত বিকাশের সময়কালে এটি বেশি হয়।
01:49 12 মাস পর্যন্ত শিশুদের জন্য প্রতিদিন 500 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়ামের পরামর্শ দেওয়া হয়।
01:57 9 বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের জন্য, প্রতিদিন 600 মিলিগ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়।
02:03 কৈশোরের দিনে এর প্রয়োজনীয়তা প্রতিদিন 800 মিলিগ্রাম পর্যন্ত বৃদ্ধি পায়।
02:10 প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য এটি প্রতিদিনে 600 মিলিগ্রাম।
02:15 গর্ভাবস্থা এবং স্তনপানের সময় ক্যালসিয়ামের প্রয়োজনীয়তা অধিক থাকে।
02:21 গর্ভাবস্থা এবং স্তনপানের সময়, 1,200 মিলিগ্রামের পরামর্শ দেওয়া হয়।
02:29 এখন ক্যালসিয়ামের অভাবের প্রভাবগুলি নিয়ে আলোচনা করি।
02:34 গর্ভাবস্থায় ক্যালসিয়ামের অভাবের ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে।
02:42 হাত পা ফুলে যেতে পারে।
02:46 মায়েরা পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম না নিলে তার প্রভাব শিশুর উপরও হতে পারে।
02:53 জন্মের পর তাদের ওজন কম হতে পারে এবং তাদের বাড়তে দেরী হতে পারে।
02:58 তাদের শারীরিক এবং জ্ঞানীয় বিকাশের ক্ষতি হতে পারে।
03:03 বাচ্চাদের ক্যালসিয়ামের অভাব রিকেটের কারণ হতে পারে।
03:08 রিকেট হল কঙ্কাল ব্যবস্থার একটি বিকৃতি।
03:12 বৃদ্ধি স্তম্ভিত হয়ে যায় এবং মেরুদণ্ডের আকারে পরিবর্তন আসতে পারে।
03:18 অন্যান্য লক্ষণ হল নিমজ্জিত পাঁজর, প্রসারিত কপাল এবং ধনুকের আকারের বাঁকানো পা।
03:26 কম উচ্চতা, কব্জি প্রশস্তকরণ, কনুই, হাঁটু এবং গোড়ালির জয়েন্ট দেখা যায়।
03:34 প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে ক্যালসিয়ামের অভাবের প্রাথমিক লক্ষণ হল মাংসপেশীতে টান লাগা।
03:40 আঙুলে অসাড়তা বা অস্বস্তিকর অনুভুতিও হতে পারে।
03:46 মানসিক বিভ্রান্তি,

বিরক্তি,

03:49 শুষ্ক ত্বক,

ভংগুর নখ

03:51 এবং দাঁতের ক্ষয়ও হতে পারে।
03:55 ক্যালসিয়ামের দীর্ঘমেয়াদি অভাবের ফলে অস্টিওপরোসিস হতে পারে।
04:01 অস্টিওপোরোসিসে হাড়ের ঘনত্ব হ্রাস পায়।
04:06 হাড়গুলি ভংগুর হয় এবং ভাঙার প্রবণতা থাকে।
04:10 অন্যান্য লক্ষণ হল অবনমিত চালচলন, উচ্চতা কমা এবং পিঠে ব্যথা।
04:18 পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে অস্টিওপরোসিসের ঝুঁকি বেশী।
04:23 কারণ মেনোপজের পর মহিলাদের ইস্ট্রোজেনের মাত্রা হ্রাস পায়।
04:29 এর ফলে ক্যালসিয়াম শোষণ হ্রাস পায় এবং প্রস্রাবের মাধ্যমে এর নির্গমন বৃদ্ধি পায়।
04:37 ক্যালসিয়ামের অভাব এড়াতে, পর্যাপ্ত পরিমাণে ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া জরুরী।
04:44 উৎকৃষ্ট উৎস হল দুধ এবং দুগ্ধজাত পণ্য।
04:48 এতে রয়েছে দই, পনির, চীজ এবং ক্ষীর (ঘন দুধের)।
04:55 এগুলি থেকে প্রাপ্ত ক্যালসিয়াম সহজেই আমাদের শরীরে শোষিত হয়।
05:00 200 মিলিলিটার গরুর দুধ থেকে 236 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম আসে।
05:07 গরুর দুধের 100 গ্রাম দইতে 150 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
05:14 গরুর দুধের 30 গ্রাম পনিরে 142 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
05:21 কিছু অল্প সংখ্যক নিরামিষ খাবারও ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ।
05:25 উদাহরণস্বরূপ: শুকনো চিংড়ি, বোম্বে ডাক, বাগদা চিংড়ি, গলদা চিংড়ি এবং শুকনো হাড়ের মাছ।
05:34 100 গ্রাম বাগদা চিংড়ি 67 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দেবে।
05:40 220 গ্রাম শুকনো চিংড়িতে 73 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
05:46 15 গ্রাম শুকনো বোম্বে ডাকে 208 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
05:54 বীজ ক্যালসিয়ামের একটি উৎকৃষ্ট উৎস।
05:58 উদাহরণস্বরূপ: তিলের বীজ, নাইগার বীজ, শ্লেষের বীজ, ঝোলা বীজ এবং পোস্ত বীজ।
06:05 1 চামচ বা 5 গ্রাম তিলের বীজে 64 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
06:14 এটি বাদে কাঠবাদাম এবং আখরোটেও অধিক ক্যালসিয়াম থাকে।
06:21 অনেক সবুজ শাক-সবজিতে ভালো পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে।
06:26 উদাহরণস্বরূপ: অ্যামরান্থ, আগাথি, ড্রামস্টিক এবং মেথির পাতা।
06:33 এমনকি মূলা পাতা, কচু পাতা এবং সরিষা পাতা ভালো উৎস।
06:39 100 গ্রাম অ্যামরান্থ পাতাতে 330 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
06:46 100 গ্রাম মেথি পাতায় 274 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে।
06:52 ক্যালসিয়াম কিছু বিনসের মধ্যে রয়েছে, যেমন সয়াবিন, ছোলার ডাল এবং মথ বিন।
07:00 50 গ্রাম ছোলার ডাল 135 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম দেয়।
07:07 ফিঙ্গার মিলেটে প্রচুর ক্যালসিয়ামের থাকে।
07:11 30 গ্রাম ফিঙ্গার মিলেটে 110 মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম থাকে।
07:18 খাবার গ্রহণের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম শোষণও সমান গুরুত্বপূর্ণ।
07:24 অক্সালেট, ফাইটেটস এবং ফাইবারের উপস্থিতি ক্যালসিয়াম শোষণকে প্রভাবিত করে।
07:30 এগুলি বাদাম, বীজ, বিনস এবং সবুজ শাকসব্জিতে উপস্থিত রয়েছে।
07:38 এই পদার্থগুলি ক্যালসিয়ামের সাথে জুড়ে একটি অদ্রাব্য কমপ্লেক্স গঠন করে।
07:45 ফলস্বরূপ, শরীরে ক্যালসিয়াম শোষণ বাধাগ্রস্ত হয়।
07:50 বিভিন্ন রান্নার কৌশল ব্যবহার করে শোষণটি বাড়ানো যায়।
07:56 উদাহরণস্বরূপ: ভেজানো, অঙ্কুরিত করা, ফোটানো, ভাজা এবং গাঁজন।
08:05 ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার সহ চা, কফি এবং কোলা এড়িয়ে চলুন।
08:13 এগুলিতে ক্যাফিন রয়েছে যা মূত্রের মাধ্যমে ক্যালসিয়াম নির্গমন বাড়ায়।
08:20 সর্বাধিক ক্যালসিয়াম শোষণের জন্য, অন্যান্য কয়েকটি পুষ্টিকর খাদ্য প্রয়োজন।
08:25 উদাহরণস্বরূপ: ভিটামিন ডি, ম্যাগনেসিয়াম, পটাসিয়াম এবং ফসফরাস।
08:32 পুষ্টিকর খাদ্য ছাড়াও পর্যাপ্ত শারীরিক ক্রিয়াকলাপ এবং অনুশীলন প্রয়োজন।
08:39 এটি হাড়ের ঘনত্ব এবং শক্তি বাড়িয়ে তুলবে।
08:44 এগুলি ছাড়াও বয়স ক্যালসিয়াম শোষণকেও প্রভাবিত করে।
08:50 শৈশব এবং শৈশবকালে এটি সর্বোচ্চ।
08:55 যৌবনের সময়, শোষণ মাঝারি হয় এবং তারপর এটি বয়সের সাথে সাথে হ্রাস পায়।
09:02 তাই অল্প বয়স থেকেই ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবারের পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়া জরুরী।
09:09 এটি আমাদের টিউটোরিয়ালের শেষে নিয়ে আসে।

অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ।

Contributors and Content Editors

Kaushik Datta