Health-and-Nutrition/C2/Breast-crawl/Bengali
From Script | Spoken-Tutorial
Revision as of 16:01, 29 May 2019 by Sakinashaikh (Talk | contribs)
Time | Narration |
00:00 | ব্রেস্ট ক্রল” বা “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে “মৌখিক প্রশিক্ষণ”-এ আপনাকে স্বাগত জানাই। |
00:05 | এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখব: “স্তন খুঁজে নেওয়া” বা ব্রেস্ট ক্রল কাকে বলে, |
00:10 | স্তন খুঁজে নেওয়ার প্রক্রিয়া আর |
00:13 | স্তন খুঁজে নেওয়ার গুরুত্ব। |
00:18 | আসুন, প্রথমে আমরা বুঝে নিই, “স্তন খুঁজে নেওয়া” বা ব্রেস্ট ক্রল কা কে বলে। |
00:23 | যেকোনো বাচ্চা খাওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মায়। |
00:28 | জন্মদানের পরপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রাখলে, বাচ্চা মায়ের স্তন খুঁজে নিতে পারে আর বুকের দুধ খাওয়া শুরু করতে পারে। |
00:40 | এই পুরো পদ্ধতিকে বলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”। |
00:46 | খেয়াল রাখা দরকার যে “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র এই কাজটি পূর্ণ মেয়াদের, স্থিতিশীল স্বাস্থ্যের বাচ্চা যারা প্রাকৃতিকভাবে বা অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে, তাদের ওপর করা যায়। |
00:58 | আর, যারা জন্মানোর পরপর ভালোভাবে কেঁদেছে। |
01:03 | “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র কাজটি অস্থিতিশীল স্বাস্থ্যের বাচ্চাদের, যাদের জন্মের সময়ে ওজন কম হয়েছে, তাদের ওপর করা যায় না। কারণ, এতে তাদের নিঃশ্বাসের সমস্যা হতে পারে, যেমন নিঃশ্বাস আটকে যাওয়া। |
01:15 | এখন, আমরা এই পদ্ধতিটি শিখব আর এরপর এটির গুরুত্ব জানব। |
01:22 | প্রথমে, দেখতে হবে যে জন্মদানের ঘরের তাপমাত্রা যেন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে। |
01:29 | এরপর বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রেখে তাকে পরিষ্কার করুন। |
01:35 | একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে হাত দুটো ছাড়া বাচ্চার সারা শরীর পরিষ্কার করুন। |
01:42 | মনে রাখবেন, বাচ্চার হাত দুটো ভেজা রাখতে হবে। |
01:46 | পরিষ্কার করার সময়ে বাচ্চার ত্বকের ওপর সাদা রঙের পাতলা আবরণ তুলে ফেলবেন না। |
01:53 | ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকলে এটি তাকে সুরক্ষা দেয়। |
01:56 | বাচ্চাকে পরিষ্কার করার পর ভেজা কাপড়টা সরিয়ে ফেলুন। |
02:01 | বাচ্চাকে শুকনো করে, ধাই-মা নাড়ির ধুকপুকুনি পরীক্ষা করবেন। |
02:08 | যখন সেটির ধুকপুকুনি থেমে যাবে, তিনি তন্ত্রীটি কেটে দেবেন। |
02:13 | তারপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর এমনভাবে রাখতে হবে যাতে তার পেটের সঙ্গে মায়ের পেট ছুঁয়ে থাকে। |
02:22 | মায়ের দুই না-ধোয়া স্তনের মাঝে বাচ্চার মাথাটা রাখতে হবে। |
02:26 | মায়ের স্তনের নীচে বাচ্চার মুখ থাকবে। |
02:30 | এখন “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চাকে ঠিকভাবে রাখা হবে জেনে নি । |
02:37 | সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক হয়, তাই সে সহজেই মায়ের স্তনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে। |
02:46 | এরপর যেটা করতে হবে – একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে বাচ্চাকে ও মাকে একসঙ্গে ঢেকে দিতে হবে যাতে তারা হালকা গরম থাকে। |
02:54 | বাচ্চার মাথায় একটা টুপি দিয়ে রাখুন। |
02:57 | খেয়াল রাখুন – আমরা টুপি আর কাপড় পরবর্তী ছবিতে দেখাইনি। |
03:04 | এর ফলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র সময়ে বাচ্চার অবস্থান আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারব। |
03:10 | বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর, মায়ের হাত দিয়ে বাচ্চার পিঠে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মাকে সাহায্য করুন। |
03:18 | আসুন, বাচ্চার সক্ষমতা নিয়ে কথা বলি যেগুলো “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য সাহায্য করে। |
03:24 | জন্মের পর বাচ্চা খুব সতর্ক থাকে আর তার সহজাত প্রবৃত্তি থাকে। |
03:29 | তার অপরিষ্কার হাতের গন্ধ তার লালা উৎপাদনে সাহায্য করে। |
03:35 | তাছাড়া, বাচ্চা তার সীমিত দৃষ্টি দিয়ে তার মায়ের মুখ আর এরিওলা দেখতে পায়। |
03:43 | এরিওলা হল স্তনের বোঁটার চারিপাশের কালো অংশ। |
03:47 | অবশেষে, বাচ্চা তার হাত-পায়ের সাহায্যে নড়াচড়া করতে শুরু করে। সে ধীরে ধীরে মায়ের স্তনের দিকে এগিয়ে যায়। |
03:57 | যদিও, কিছু কিছু বাচ্চা সঙ্গে সঙ্গে এগোতে শুরু করে আর কিছু কিছু বাচ্চা সময় নেয়। |
04:04 | স্তনে পৌঁছে গিয়ে, বাচ্চা প্রথমে চেষ্টা করে তার হাত দিয়ে স্তনটি আঁকড়ে ধরতে। |
04:12 | এই সময়ে বাচ্চাকে ও মাকে কোনও বাধা দেবেন না, যতক্ষণ না বাচ্চা প্রথম বুকের দুধ খায়। |
04:20 | এই পদ্ধতির সময়ে, মা আর ধাই-মা দুজনকেই ধৈর্য ধরতে হবে। |
04:27 | প্রথমবার খাওয়ার জন্য, মায়ের স্তন পর্যন্ত পৌঁছতে বাচ্চার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট সময় লাগতে পারে। |
04:35 | বুকের দুধ খাওয়ানোর শুরুর সময়ে, বাচ্চা নিজের মুখ চওড়া করে খুলবে আর মায়ের স্তনের সঙ্গে গভীর ভাবে সংযোগ করে থাকবে। |
04:45 | খাওয়ানো শেষ হয়ে গেলে, বাচ্চাকে ওই একই অবস্থায় ঘণ্টা খানেকের মতো সময় থাকতে দিন। |
04:52 | এরকম করলে, মা ও বাচ্চার মধ্যে বন্ধন সুন্দর হয়ে ওঠে। |
04:58 | যদিও, মায়ের যদি কোনও ওষুধপত্র চলে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন। |
05:05 | জন্ম দেওয়ার পর, কখনও কখনও এমন হতে পারে যে মাকে জন্ম দেওয়ার ঘর থেকে অন্য কোনও ঘরে নিয়ে যেতে হয়। |
05:13 | সেরকম ক্ষেত্রে, মাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে, আগে যেমন বলা হয়েছে, মায়ের তলপেটের ওপর বাচ্চাকে সঙ্গে সঙ্গে রেখে দুজনের ঘনিষ্ঠ ছোঁয়া বা জড়িয়ে রাখতে হবে |
05:29 | এখন, আসুন, অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে কথা বলি। |
05:35 | এটার জন্য, তলপেটের বদলে মায়ের বুকের ওপরে বাচ্চাকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে বাচ্চার পা দুটো মায়ের মাথার দিকে থাকে। |
05:47 | বাচ্চার বুক আর পেট মায়ের কাঁধে থাকবে আর মুখ থাকবে স্তনের ওপর। |
05:54 | অপারেশনের ঘরে যতক্ষণ সম্ভব বাচ্চাকে স্তন চুষতে দিন। |
05:59 | মনে রাখবেন, জন্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, মা ও বাচ্চা – দুজনের ত্বকের সঙ্গে ছোঁয়া লেগে থাকা যেকোনো সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সবথেকে জরুরি যত্ন হয়। |
06:09 | খেয়াল রাখবেন, “স্তন খুঁজে নেওয়া” সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই জন্মের পর সদ্যোজাত বাচ্চার অন্যান্য যত্ন নেওয়া উচিৎ। |
06:17 | এখন, আসুন, সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র গুরুত্ব সম্বন্ধে কথা বলি। |
06:23 | স্তন খুঁজে নিলে বাচ্চা মায়ের প্রথম দুধ, যেটাকে “কোলোস্ট্রাম” বলে, সেটা খেতে পারে। |
06:29 | এটার রং হালকা হলদেটে হয় আর ঘন গাঢ় হয়। |
06:33 | খেয়াল রাখবেন, জন্মের পর প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে, বাচ্চা যতটা পরিমাণ কোলোস্ট্রাম খায়, এটা তত বাড়তে থাকে। |
06:43 | প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় একেকটি স্তন থেকে প্রথম দিনে বাচ্চা ৫ মিলিলিটার খায়, |
06:47 | দ্বিতীয় দিনে ১০ মিলিলিটার, |
06:50 | তৃতীয় দিনে ২৫ মিলিলিটার, |
06:53 | চতুর্থ দিনে ৪০ মিলিলিটার আর পঞ্চম দিনে ৫৫ মিলিলিটার। |
07:05 | সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য এটা যথেষ্ট। |
07:09 | সুতরাং, কোলোস্ট্রাম ছাড়া বাচ্চাকে আর কিছু খাওয়ানোর দরকার নেই। |
07:15 | “কোলোস্ট্রাম” বাচ্চার জন্য প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে আর এতে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য দরকারি প্রোটিনগুলো থাকে যেগুলো বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। |
07:27 | জন্মের পর এটাই বাচ্চার প্রথম শক্তি ও ক্ষমতার উৎস। |
07:33 | “কোলোস্ট্রাম” রক্তে “গ্লুকোজের” পরিমাণ কম হতে দেয় না। |
07:37 | এটা বাচ্চার অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াগুলো বজায় রাখে। |
07:42 | এটা বাচ্চার মগজের (ব্রেন) ভালো বিকাশ করতে সাহায্য করে। |
07:46 | এটা বাচ্চাকে প্রথম পায়খানা করতে সাহায্য করে। |
07:50 | “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চার শরীর হালকা গরমও থাকে, কারণ মায়ের শরীরের সঙ্গে তার শরীর ছুঁয়ে থাকে। |
07:57 | মায়ের স্তনের সঙ্গে কিভাবে গভীর সংযোগ করাযায় সেটা বাচ্চা নিজে নিজে শিখে নেয়। |
08:04 | “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র ফলে মায়ের শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার শরীরেও যায়। |
08:08 | এই ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার অন্ত্রে ঢুকে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে। |
08:13 | মোট কথা, এটা বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। |
08:18 | “স্তন খুঁজে নেওয়া” বাচ্চার মধ্যে ভালোবাসা আর সুরক্ষার অনুভূতি নিয়ে আসে, ফলে মা ও বাচ্চার মধ্যে বাঁধন সুন্দর হয়। |
08:29 | “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র কারণে মায়েরও অনেক উপকার হয়। |
08:34 | বাচ্চার পায়ের নড়াচড়াগুলো মায়ের জরায়ুতে চাপ দেয়। এই চাপ জরায়ুর সংকোচনে আর ফুল খসতে সাহায্য করে। |
08:45 | বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করলে মায়ের শরীরে ‘অক্সিটোসিন” বাড়ে। |
08:51 | “অক্সিটোসিন” বাড়লে জরায়ুর ফুল খসতেও সাহায্য হয়। |
08:56 | এইভাবে, “স্তন খুঁজে নেওয়া” মায়েদের রক্ত কম হয়ে যাওয়া এবং “রক্তাল্পতা” রোগ কম করতে পারে। |
09:03 | যখন শরীরে লাল রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যায়, সেটাকে বলে “রক্তাল্পতা”। |
09:08 | এর ফলে মায়ের ক্লান্তি আর দুর্বলতা হতে পারে। |
09:13 | সুতরাং, “স্তন খুঁজে নেওয়া” হল মা ও বাচ্চা দুজনের জন্যেই খুবই উপকারি একটা প্রাকৃতিক উপায়। |
09:21 | “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র এই প্রশিক্ষণ এখানেই শেষ হল। |
09:26 | এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখলাম: স্তন খুঁজে নেওয়া বা ব্রেস্ট ক্রল কাকে বলে, |
09:30 | স্তন খুঁজে নেওয়ার পদ্ধতি আর গুরুত্ব। |
09:37 | এই প্রশিক্ষণে “আইআইটি বম্বে-র মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-এর অবদান রয়েছে। |
09:43 | “মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-টি ভারত সরকারের “এনএমইআইসিটি, এমএইচআরডি”-এর আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত। |
09:49 | এই উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও খোঁজখবর এই লিংকে পাওয়া যাবে। |
09:54 | এই প্রশিক্ষণে “হুইলস গ্লোবাল ফাউন্ডেশন” আংশিকভাবে আর্থিক অনুদান দিয়েছে। |
10:01 | এই প্রশিক্ষণ “মা ও শিশুর পোষণ” প্রকল্পের একটি অংশ। এই প্রশিক্ষণের কার্যক্ষেত্র পর্যালোচনাকারী হলেন ডাঃ রুপাল দালাল, শিশুরোগ বিষয়ে এমডি। |
10:12 | “আইআইটি বম্বে” থেকে আমি পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ রজনী সাওান্ত এবং সঙ্গে অ্যানিমেটর অর্থী আনবালাগান এখন আপনাদের বিদায় জানাচ্ছি।
|