Difference between revisions of "Health-and-Nutrition/C2/Breast-crawl/Bengali"

From Script | Spoken-Tutorial
Jump to: navigation, search
(Breast Crawl)
(Breast Crawl)
Line 1: Line 1:
 +
{| border = 1
 +
|  ''' Time '''
 +
|  '''Narration'''
  
| 00:00
+
00:00
 
“ব্রেস্ট ক্রল” বা “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে “মৌখিক প্রশিক্ষণ”-এ আপনাকে স্বাগত জানাই।  
 
“ব্রেস্ট ক্রল” বা “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে “মৌখিক প্রশিক্ষণ”-এ আপনাকে স্বাগত জানাই।  
  
|-
 
 
| 00:05
 
| 00:05
 
এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখব: “স্তন খুঁজে নেওয়া” কাকে বলে,  
 
এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখব: “স্তন খুঁজে নেওয়া” কাকে বলে,  
  
|-
 
 
| 00:10  
 
| 00:10  
 
স্তন খুঁজে নেওয়ার উপায় আর  
 
স্তন খুঁজে নেওয়ার উপায় আর  
  
|-
 
 
| 00:13
 
| 00:13
 
স্তন খুঁজে নেওয়ার গুরুত্ব।  
 
স্তন খুঁজে নেওয়ার গুরুত্ব।  
  
|-
+
| 00:18  
| 00:18
+
 
আসুন, প্রথমে আমরা বুঝে নিই, “স্তন খুঁজে নেওয়া” কাকে বলে।  
 
আসুন, প্রথমে আমরা বুঝে নিই, “স্তন খুঁজে নেওয়া” কাকে বলে।  
  
| 00:23
+
| 00:23  
 
যেকোনো বাচ্চা খাওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মায়।  
 
যেকোনো বাচ্চা খাওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মায়।  
 
+
 
+
| 00:28
| 00:28  
+
 
জন্মদানের পরপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রাখলে, বাচ্চা মায়ের স্তন খুঁজে নিতে পারে আর বুকের দুধ খাওয়া শুরু করতে পারে।  
 
জন্মদানের পরপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রাখলে, বাচ্চা মায়ের স্তন খুঁজে নিতে পারে আর বুকের দুধ খাওয়া শুরু করতে পারে।  
  
 
| 00:40
 
| 00:40
 
এই পুরো পদ্ধতিকে বলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”।  
 
এই পুরো পদ্ধতিকে বলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”।  
 
+
 
+
 
| 00:46
 
| 00:46
 
 
খেয়াল রাখা দরকার যে “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র এই কাজটি পূর্ণ মেয়াদের, স্থিতিশীল স্বাস্থ্যের বাচ্চা যারা প্রাকৃতিকভাবে বা অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে, তাদের ওপর করা যায়।  
 
খেয়াল রাখা দরকার যে “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র এই কাজটি পূর্ণ মেয়াদের, স্থিতিশীল স্বাস্থ্যের বাচ্চা যারা প্রাকৃতিকভাবে বা অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে, তাদের ওপর করা যায়।  
 
  
 
| 00:58
 
| 00:58
Line 43: Line 38:
 
| 01:15
 
| 01:15
 
এখন, আমরা এই পদ্ধতিটি শিখব আর এরপর এটির গুরুত্ব জানব।  
 
এখন, আমরা এই পদ্ধতিটি শিখব আর এরপর এটির গুরুত্ব জানব।  
 
  
 
| 01:22  
 
| 01:22  
 
প্রথমে, দেখতে হবে যে জন্মদানের ঘরের তাপমাত্রা যেন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে।  
 
প্রথমে, দেখতে হবে যে জন্মদানের ঘরের তাপমাত্রা যেন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে।  
  
 
 
|01:29  
 
|01:29  
 
এরপর বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রেখে তাকে পরিষ্কার করুন।  
 
এরপর বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রেখে তাকে পরিষ্কার করুন।  
 
+
 
+
| 01:35.
| 01:35
+
 
একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে হাত দুটো ছাড়া বাচ্চার সারা শরীর পরিষ্কার করুন।  
 
একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে হাত দুটো ছাড়া বাচ্চার সারা শরীর পরিষ্কার করুন।  
 
+
| 01:42  
+
| 01:42
 
মনে রাখবেন, বাচ্চার হাত দুটো ভেজা রাখতে হবে।  
 
মনে রাখবেন, বাচ্চার হাত দুটো ভেজা রাখতে হবে।  
 
  
 
| 01:46  
 
| 01:46  
 
পরিষ্কার করার সময়ে বাচ্চার ত্বকের ওপর সাদা রঙের পাতলা আবরণ তুলে ফেলবেন না।  
 
পরিষ্কার করার সময়ে বাচ্চার ত্বকের ওপর সাদা রঙের পাতলা আবরণ তুলে ফেলবেন না।  
 
  
 
| 01:53
 
| 01:53
Line 69: Line 59:
 
| 01:56
 
| 01:56
 
বাচ্চাকে পরিষ্কার করার পর ভেজা কাপড়টা সরিয়ে ফেলুন।  
 
বাচ্চাকে পরিষ্কার করার পর ভেজা কাপড়টা সরিয়ে ফেলুন।  
 
+
 
| 02:01
 
| 02:01
 
বাচ্চাকে শুকনো করে, ধাই-মা নাড়ির ধুকপুকুনি পরীক্ষা করবেন।  
 
বাচ্চাকে শুকনো করে, ধাই-মা নাড়ির ধুকপুকুনি পরীক্ষা করবেন।  
Line 81: Line 71:
 
| 02:22
 
| 02:22
 
মায়ের দুই না-ধোয়া স্তনের মাঝে বাচ্চার মাথাটা রাখতে হবে।  
 
মায়ের দুই না-ধোয়া স্তনের মাঝে বাচ্চার মাথাটা রাখতে হবে।  
 
  
 
| 02:26
 
| 02:26
 
মায়ের স্তনের নীচে বাচ্চার মুখ থাকবে।  
 
মায়ের স্তনের নীচে বাচ্চার মুখ থাকবে।  
  
 
+
| 02:30  
| 02:30
+
 
এখন “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চাকে ঠিকভাবে রাখা হল।  
 
এখন “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চাকে ঠিকভাবে রাখা হল।  
  
|-
+
| 02:37  
| 02:37
+
| As moving forward is very natural for a newborn baby,  she can easily crawl forward towards mother’s breast.
+
 
সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক হয়, তাই সে সহজেই মায়ের স্তনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।  
 
সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক হয়, তাই সে সহজেই মায়ের স্তনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।  
  
|-
+
| 02:46   
| 02:46  
+
| Next thing to do is- cover the baby and mother together with a clean dry cloth to keep them warm.
+
 
এরপর যেটা করতে হবে – একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে বাচ্চাকে ও মাকে একসঙ্গে ঢেকে দিতে হবে যাতে তারা হালকা গরম থাকে।  
 
এরপর যেটা করতে হবে – একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে বাচ্চাকে ও মাকে একসঙ্গে ঢেকে দিতে হবে যাতে তারা হালকা গরম থাকে।  
 
  
 
| 02:54  
 
| 02:54  
 
| বাচ্চার মাথায় একটা টুপি দিয়ে রাখুন।  
 
| বাচ্চার মাথায় একটা টুপি দিয়ে রাখুন।  
  
 
+
| 02:57  
| 02:57
+
 
খেয়াল রাখুন – আমরা টুপি আর কাপড় পরবর্তী ছবিতে দেখাইনি।  
 
খেয়াল রাখুন – আমরা টুপি আর কাপড় পরবর্তী ছবিতে দেখাইনি।  
  
Line 117: Line 99:
 
আসুন, বাচ্চার সক্ষমতা নিয়ে কথা বলি যেগুলো “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য সাহায্য করে।  
 
আসুন, বাচ্চার সক্ষমতা নিয়ে কথা বলি যেগুলো “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য সাহায্য করে।  
  
| 03:24  
+
| 03:24
 
জন্মের পর বাচ্চা খুব সতর্ক থাকে আর তার সহজাত প্রবৃত্তি থাকে।  
 
জন্মের পর বাচ্চা খুব সতর্ক থাকে আর তার সহজাত প্রবৃত্তি থাকে।  
  
Line 123: Line 105:
 
তার অপরিষ্কার হাতের গন্ধ তার লালা উৎপাদনে সাহায্য করে।  
 
তার অপরিষ্কার হাতের গন্ধ তার লালা উৎপাদনে সাহায্য করে।  
  
| 03:35
+
| 03:35  
 
তাছাড়া, বাচ্চা তার সীমিত দৃষ্টি দিয়ে তার মায়ের মুখ আর এরিওলা দেখতে পায়।  
 
তাছাড়া, বাচ্চা তার সীমিত দৃষ্টি দিয়ে তার মায়ের মুখ আর এরিওলা দেখতে পায়।  
  
 
+
| 03:43  
| 03:43
+
 
এরিওলা হল স্তনের বোঁটার চারিপাশের কালো অংশ।  
 
এরিওলা হল স্তনের বোঁটার চারিপাশের কালো অংশ।  
  
Line 134: Line 115:
  
  
| 03:57
+
| 03:57  
 
যদিও, কিছু কিছু বাচ্চা সঙ্গে সঙ্গে এগোতে শুরু করে আর কিছু কিছু বাচ্চা সময় নেয়।  
 
যদিও, কিছু কিছু বাচ্চা সঙ্গে সঙ্গে এগোতে শুরু করে আর কিছু কিছু বাচ্চা সময় নেয়।  
  
 
+
| 04:04  
| 04:04
+
 
স্তনে পৌঁছে গিয়ে, বাচ্চা প্রথমে চেষ্টা করে তার হাত দিয়ে স্তনটি আঁকড়ে ধরতে।  
 
স্তনে পৌঁছে গিয়ে, বাচ্চা প্রথমে চেষ্টা করে তার হাত দিয়ে স্তনটি আঁকড়ে ধরতে।  
  
  
| 04:12  
+
| 04:12
 
এই সময়ে বাচ্চাকে ও মাকে কোনও বাধা দেবেন না, যতক্ষণ না বাচ্চা প্রথম বুকের দুধ খায়।  
 
এই সময়ে বাচ্চাকে ও মাকে কোনও বাধা দেবেন না, যতক্ষণ না বাচ্চা প্রথম বুকের দুধ খায়।  
  
 
+
| 04:20
| 04:20  
+
 
এই পদ্ধতির সময়ে, মা আর ধাই-মা দুজনকেই ধৈর্য ধরতে হবে।  
 
এই পদ্ধতির সময়ে, মা আর ধাই-মা দুজনকেই ধৈর্য ধরতে হবে।  
  
Line 152: Line 131:
 
প্রথমবার খাওয়ার জন্য, মায়ের স্তন পর্যন্ত পৌঁছতে বাচ্চার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট সময় লাগতে পারে।  
 
প্রথমবার খাওয়ার জন্য, মায়ের স্তন পর্যন্ত পৌঁছতে বাচ্চার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট সময় লাগতে পারে।  
  
 
+
| 04:35  
| 04:35
+
 
বুকের দুধ খাওয়ানোর শুরুর সময়ে, বাচ্চা নিজের মুখ চওড়া করে খুলবে আর মায়ের স্তনের সঙ্গে লেপটে থাকবে।  
 
বুকের দুধ খাওয়ানোর শুরুর সময়ে, বাচ্চা নিজের মুখ চওড়া করে খুলবে আর মায়ের স্তনের সঙ্গে লেপটে থাকবে।  
  
| 04:45  
+
| 04:45
 
খাওয়ানো শেষ হয়ে গেলে, বাচ্চাকে ওই একই অবস্থায় ঘণ্টা খানেকের মতো সময় থাকতে দিন।  
 
খাওয়ানো শেষ হয়ে গেলে, বাচ্চাকে ওই একই অবস্থায় ঘণ্টা খানেকের মতো সময় থাকতে দিন।  
+
 
| 04:52.
+
| 04:52  
 
এরকম করলে, মা ও বাচ্চার মধ্যে বন্ধন সুন্দর হয়ে ওঠে।  
 
এরকম করলে, মা ও বাচ্চার মধ্যে বন্ধন সুন্দর হয়ে ওঠে।  
 
  
 
| 04:58
 
| 04:58
Line 173: Line 150:
 
সেরকম ক্ষেত্রে, মাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে, আগে যেমন বলা হয়েছে, মায়ের তলপেটের ওপর বাচ্চাকে সঙ্গে সঙ্গে রেখে দুজনের ঘনিষ্ঠ ছোঁয়া দিতে হবে।  
 
সেরকম ক্ষেত্রে, মাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে, আগে যেমন বলা হয়েছে, মায়ের তলপেটের ওপর বাচ্চাকে সঙ্গে সঙ্গে রেখে দুজনের ঘনিষ্ঠ ছোঁয়া দিতে হবে।  
  
| 05:29
+
 
 +
| 05:29  
 
এখন, আসুন, অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে কথা বলি।  
 
এখন, আসুন, অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে কথা বলি।  
  
| 05:35
+
| 05:35  
 
এটার জন্য, তলপেটের বদলে মায়ের বুকের ওপরে বাচ্চাকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে বাচ্চার পা দুটো মায়ের মাথার দিকে থাকে।  
 
এটার জন্য, তলপেটের বদলে মায়ের বুকের ওপরে বাচ্চাকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে বাচ্চার পা দুটো মায়ের মাথার দিকে থাকে।  
 
   
 
   
 +
| 05:47
 +
বাচ্চার বুক আর পেট মায়ের কাঁধে থাকবে আর মুখ থাকবে স্তনের ওপর।
  
| 05:47
 
বাচ্চার বুক আর পেট মায়ের কাঁধে থাকবে আর মুখ থাকবে স্তনের ওপর।
 
 
 
| 05:54
 
| 05:54
 
অপারেশনের ঘরে যতক্ষণ সম্ভব বাচ্চাকে স্তন চুষতে দিন।  
 
অপারেশনের ঘরে যতক্ষণ সম্ভব বাচ্চাকে স্তন চুষতে দিন।  
 
  
 
| 05:59  
 
| 05:59  
 
মনে রাখবেন, জন্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, মা ও বাচ্চা – দুজনের ত্বকের সঙ্গে ছোঁয়া লেগে থাকা যেকোনো সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সবথেকে জরুরি যত্ন হয়।
 
মনে রাখবেন, জন্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, মা ও বাচ্চা – দুজনের ত্বকের সঙ্গে ছোঁয়া লেগে থাকা যেকোনো সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সবথেকে জরুরি যত্ন হয়।
 
+
 
| 06:09  
 
| 06:09  
 
খেয়াল রাখবেন, “স্তন খুঁজে নেওয়া” সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই জন্মের পর সদ্যোজাত বাচ্চার অন্যান্য যত্ন নেওয়া উচিৎ।
 
খেয়াল রাখবেন, “স্তন খুঁজে নেওয়া” সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই জন্মের পর সদ্যোজাত বাচ্চার অন্যান্য যত্ন নেওয়া উচিৎ।
 
   
 
   
+
| 06:17
| 06:17  
+
 
এখন, আসুন, সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র গুরুত্ব সম্বন্ধে কথা বলি।  
 
এখন, আসুন, সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র গুরুত্ব সম্বন্ধে কথা বলি।  
  
 
| 06:23
 
| 06:23
 
স্তন খুঁজে নিলে বাচ্চা মায়ের প্রথম দুধ, যেটাকে “কোলোস্ট্রাম” বলে, সেটা খেতে পারে।  
 
স্তন খুঁজে নিলে বাচ্চা মায়ের প্রথম দুধ, যেটাকে “কোলোস্ট্রাম” বলে, সেটা খেতে পারে।  
 
  
 
| 06:29
 
| 06:29
 
এটার রং হালকা হলদেটে হয় আর ঘন গাঢ় হয়।  
 
এটার রং হালকা হলদেটে হয় আর ঘন গাঢ় হয়।  
 
+
 
+
 
| 06:33
 
| 06:33
 
খেয়াল রাখবেন, জন্মের পর প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে, বাচ্চা যতটা পরিমাণ কোলোস্ট্রাম খায়, এটা তত বাড়তে থাকে।  
 
খেয়াল রাখবেন, জন্মের পর প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে, বাচ্চা যতটা পরিমাণ কোলোস্ট্রাম খায়, এটা তত বাড়তে থাকে।  
  
| 06:43
+
| 06:43  
 
প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় একেকটি স্তন থেকে প্রথম দিনে বাচ্চা ৫ মিলিলিটার খায়,  
 
প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় একেকটি স্তন থেকে প্রথম দিনে বাচ্চা ৫ মিলিলিটার খায়,  
 
  
 
| 06:47
 
| 06:47
 
দ্বিতীয় দিনে ১০ মিলিলিটার,   
 
দ্বিতীয় দিনে ১০ মিলিলিটার,   
  
| 06:50  
+
| 06:50
 
তৃতীয় দিনে ২৫ মিলিলিটার,  
 
তৃতীয় দিনে ২৫ মিলিলিটার,  
  
Line 226: Line 198:
 
| 07:09
 
| 07:09
 
সুতরাং, কোলোস্ট্রাম ছাড়া বাচ্চাকে আর কিছু খাওয়ানোর দরকার নেই।  
 
সুতরাং, কোলোস্ট্রাম ছাড়া বাচ্চাকে আর কিছু খাওয়ানোর দরকার নেই।  
+
 
|  07:15  
+
|  07:15
 
“কোলোস্ট্রাম” বাচ্চার জন্য প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে আর এতে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য দরকারি প্রোটিনগুলো থাকে যেগুলো বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  
 
“কোলোস্ট্রাম” বাচ্চার জন্য প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে আর এতে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য দরকারি প্রোটিনগুলো থাকে যেগুলো বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  
 
   
 
   
 
+
| 07:27  
| 07:27
+
 
জন্মের পর এটাই বাচ্চার প্রথম শক্তি ও ক্ষমতার উৎস।  
 
জন্মের পর এটাই বাচ্চার প্রথম শক্তি ও ক্ষমতার উৎস।  
 
+
 
+
 
| 07:33
 
| 07:33
 
“কোলোস্ট্রাম” রক্তে “গ্লুকোজের” পরিমাণ কম হতে দেয় না।  
 
“কোলোস্ট্রাম” রক্তে “গ্লুকোজের” পরিমাণ কম হতে দেয় না।  
  
 
+
| 07:37  
| 07:37
+
 
এটা বাচ্চার অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াগুলো বজায় রাখে।  
 
এটা বাচ্চার অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াগুলো বজায় রাখে।  
 
  
 
| 07:42
 
| 07:42
 
এটা বাচ্চার মগজের (ব্রেন) ভালো বিকাশ করতে সাহায্য করে।  
 
এটা বাচ্চার মগজের (ব্রেন) ভালো বিকাশ করতে সাহায্য করে।  
 
   
 
   
 
 
|07:46
 
|07:46
 
এটা বাচ্চাকে প্রথম পায়খানা করতে সাহায্য করে।  
 
এটা বাচ্চাকে প্রথম পায়খানা করতে সাহায্য করে।  
 
+
 
| 07:50
 
| 07:50
 
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চার শরীর হালকা গরমও থাকে, কারণ মায়ের শরীরের সঙ্গে তার শরীর ছুঁয়ে থাকে।  
 
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চার শরীর হালকা গরমও থাকে, কারণ মায়ের শরীরের সঙ্গে তার শরীর ছুঁয়ে থাকে।  
 
   
 
   
 
 
|07:57  
 
|07:57  
 
মায়ের স্তনের সঙ্গে কিভাবে লেপটে থাকবে সেটা বাচ্চা নিজে নিজে শিখে নেয়।  
 
মায়ের স্তনের সঙ্গে কিভাবে লেপটে থাকবে সেটা বাচ্চা নিজে নিজে শিখে নেয়।  
  
 
+
| 08:04.
| 08:04
+
 
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র ফলে মায়ের শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার শরীরেও যায়।  
 
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র ফলে মায়ের শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার শরীরেও যায়।  
 
   
 
   
 
+
| 08:08
| 08:08.
+
 
এই ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার অন্ত্রে ঢুকে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে।  
 
এই ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার অন্ত্রে ঢুকে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে।  
  
 
+
| 08:13
| 08:13  
+
 
মোট কথা, এটা বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  
 
মোট কথা, এটা বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।  
  
| 08:18.
+
| 08:18
 
“স্তন খুঁজে নেওয়া” বাচ্চার মধ্যে ভালোবাসা আর সুরক্ষার অনুভূতি নিয়ে আসে, ফলে মা ও বাচ্চার মধ্যে বাঁধন সুন্দর হয়।  
 
“স্তন খুঁজে নেওয়া” বাচ্চার মধ্যে ভালোবাসা আর সুরক্ষার অনুভূতি নিয়ে আসে, ফলে মা ও বাচ্চার মধ্যে বাঁধন সুন্দর হয়।  
  
 
+
|08:29  
|08:29
+
 
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র কারণে মায়েরও অনেক উপকার হয়।
 
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র কারণে মায়েরও অনেক উপকার হয়।
 
   
 
   
 
 
| 08:34
 
| 08:34
 
বাচ্চার পায়ের নড়াচড়াগুলো মায়ের জরায়ুতে চাপ দেয়। এই চাপ জরায়ুর সংকোচনে আর ফুল খসতে সাহায্য করে।  
 
বাচ্চার পায়ের নড়াচড়াগুলো মায়ের জরায়ুতে চাপ দেয়। এই চাপ জরায়ুর সংকোচনে আর ফুল খসতে সাহায্য করে।  
Line 283: Line 244:
 
বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করলে মায়ের শরীরে ‘অক্সিটোসিন” বাড়ে।  
 
বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করলে মায়ের শরীরে ‘অক্সিটোসিন” বাড়ে।  
  
 
+
| 08:51
| 08:51  
+
 
“অক্সিটোসিন” বাড়লে জরায়ুর ফুল খসতেও সাহায্য হয়।  
 
“অক্সিটোসিন” বাড়লে জরায়ুর ফুল খসতেও সাহায্য হয়।  
 
  
 
| 08:56
 
| 08:56
 
এইভাবে, “স্তন খুঁজে নেওয়া” মায়েদের রক্ত কম হয়ে যাওয়া এবং “রক্তাল্পতা” রোগ কম করতে পারে।  
 
এইভাবে, “স্তন খুঁজে নেওয়া” মায়েদের রক্ত কম হয়ে যাওয়া এবং “রক্তাল্পতা” রোগ কম করতে পারে।  
 
+
 
+
 
| 09:03
 
| 09:03
 
যখন শরীরে লাল রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যায়, সেটাকে বলে “রক্তাল্পতা”।
 
যখন শরীরে লাল রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যায়, সেটাকে বলে “রক্তাল্পতা”।
+
 
 
| 09:08
 
| 09:08
 
এর ফলে মায়ের ক্লান্তি আর দুর্বলতা হতে পারে।  
 
এর ফলে মায়ের ক্লান্তি আর দুর্বলতা হতে পারে।  
  
 
+
|-
 
| 09:13  
 
| 09:13  
 
সুতরাং, “স্তন খুঁজে নেওয়া” হল মা ও বাচ্চা দুজনের জন্যেই খুবই উপকারি একটা প্রাকৃতিক উপায়।  
 
সুতরাং, “স্তন খুঁজে নেওয়া” হল মা ও বাচ্চা দুজনের জন্যেই খুবই উপকারি একটা প্রাকৃতিক উপায়।  
 
  
 
| 09:21
 
| 09:21
Line 308: Line 265:
 
| 09:26
 
| 09:26
 
এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখলাম: স্তন খুঁজে নেওয়া কাকে বলে,  
 
এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখলাম: স্তন খুঁজে নেওয়া কাকে বলে,  
+
 
 
+
| 09:30  
| 09:30
+
 
স্তন খুঁজে নেওয়ার পদ্ধতি আর গুরুত্ব।  
 
স্তন খুঁজে নেওয়ার পদ্ধতি আর গুরুত্ব।  
  
 
+
| 09:37
| 09:37  
+
 
এই প্রশিক্ষণে “আইআইটি বম্বে-র মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-এর অবদান রয়েছে।  
 
এই প্রশিক্ষণে “আইআইটি বম্বে-র মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-এর অবদান রয়েছে।  
  
| 09:43  
+
| 09:43
 
“মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-টি ভারত সরকারের “এনএমইআইসিটি, এমএইচআরডি”-এর আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত।  
 
“মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-টি ভারত সরকারের “এনএমইআইসিটি, এমএইচআরডি”-এর আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত।  
 
    
 
    
 
 
| 09:49
 
| 09:49
 
এই উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও খোঁজখবর এই লিংকে পাওয়া যাবে।  
 
এই উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও খোঁজখবর এই লিংকে পাওয়া যাবে।  
Line 326: Line 280:
 
| 09:54
 
| 09:54
 
এই প্রশিক্ষণে “হুইলস গ্লোবাল ফাউন্ডেশন” আংশিকভাবে আর্থিক অনুদান দিয়েছে।  
 
এই প্রশিক্ষণে “হুইলস গ্লোবাল ফাউন্ডেশন” আংশিকভাবে আর্থিক অনুদান দিয়েছে।  
 
  
 
| 10:01
 
| 10:01
 
এই প্রশিক্ষণ “মা ও শিশুর পোষণ” প্রকল্পের একটি অংশ। এই প্রশিক্ষণের কার্যক্ষেত্র পর্যালোচনাকারী হলেন ডাঃ রুপাল দালাল, শিশুরোগ বিষয়ে এমডি।  
 
এই প্রশিক্ষণ “মা ও শিশুর পোষণ” প্রকল্পের একটি অংশ। এই প্রশিক্ষণের কার্যক্ষেত্র পর্যালোচনাকারী হলেন ডাঃ রুপাল দালাল, শিশুরোগ বিষয়ে এমডি।  
  
 
+
| 10:12  
| 10:12
+
 
“আইআইটি বম্বে” থেকে আমি পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ রজনী সাওান্ত এবং সঙ্গে অ্যানিমেটর অর্থী আনবালাগান এখন আপনাদের বিদায় জানাচ্ছি।  
 
“আইআইটি বম্বে” থেকে আমি পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ রজনী সাওান্ত এবং সঙ্গে অ্যানিমেটর অর্থী আনবালাগান এখন আপনাদের বিদায় জানাচ্ছি।  
 
   
 
   
 
 
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।
 
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

Revision as of 20:23, 2 May 2019

Time Narration

00:00 “ব্রেস্ট ক্রল” বা “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে “মৌখিক প্রশিক্ষণ”-এ আপনাকে স্বাগত জানাই।

00:05

এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখব: “স্তন খুঁজে নেওয়া” কাকে বলে,

00:10

স্তন খুঁজে নেওয়ার উপায় আর

00:13

স্তন খুঁজে নেওয়ার গুরুত্ব।

00:18

আসুন, প্রথমে আমরা বুঝে নিই, “স্তন খুঁজে নেওয়া” কাকে বলে।

00:23

যেকোনো বাচ্চা খাওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মায়।

00:28

জন্মদানের পরপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রাখলে, বাচ্চা মায়ের স্তন খুঁজে নিতে পারে আর বুকের দুধ খাওয়া শুরু করতে পারে।

00:40

এই পুরো পদ্ধতিকে বলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”।

00:46

খেয়াল রাখা দরকার যে “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র এই কাজটি পূর্ণ মেয়াদের, স্থিতিশীল স্বাস্থ্যের বাচ্চা যারা প্রাকৃতিকভাবে বা অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে, তাদের ওপর করা যায়।

00:58

আর, যারা জন্মানোর পরপর ভালোভাবে কেঁদেছে।

01:03

“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র কাজটি অস্থিতিশীল স্বাস্থ্যের বাচ্চাদের, যাদের জন্মের সময়ে ওজন কম হয়েছে, তাদের ওপর করা যায় না। কারণ, এতে তাদের নিঃশ্বাসের সমস্যা হতে পারে, যেমন নিঃশ্বাস আটকে যাওয়া।

01:15

এখন, আমরা এই পদ্ধতিটি শিখব আর এরপর এটির গুরুত্ব জানব।

01:22

প্রথমে, দেখতে হবে যে জন্মদানের ঘরের তাপমাত্রা যেন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে।

01:29

এরপর বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রেখে তাকে পরিষ্কার করুন।

01:35.

একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে হাত দুটো ছাড়া বাচ্চার সারা শরীর পরিষ্কার করুন।

01:42

মনে রাখবেন, বাচ্চার হাত দুটো ভেজা রাখতে হবে।

01:46

পরিষ্কার করার সময়ে বাচ্চার ত্বকের ওপর সাদা রঙের পাতলা আবরণ তুলে ফেলবেন না।

01:53

ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকলে এটি তাকে সুরক্ষা দেয়।

01:56

বাচ্চাকে পরিষ্কার করার পর ভেজা কাপড়টা সরিয়ে ফেলুন।

02:01

বাচ্চাকে শুকনো করে, ধাই-মা নাড়ির ধুকপুকুনি পরীক্ষা করবেন।

02:08

যখন সেটির ধুকপুকুনি থেমে যাবে, তিনি তন্ত্রীটি কেটে দেবেন।

02:13

তারপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর এমনভাবে রাখতে হবে যাতে তার পেটের সঙ্গে মায়ের পেট ছুঁয়ে থাকে।

02:22

মায়ের দুই না-ধোয়া স্তনের মাঝে বাচ্চার মাথাটা রাখতে হবে।

02:26

মায়ের স্তনের নীচে বাচ্চার মুখ থাকবে।

02:30

এখন “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চাকে ঠিকভাবে রাখা হল।

02:37

সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক হয়, তাই সে সহজেই মায়ের স্তনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।

02:46

এরপর যেটা করতে হবে – একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে বাচ্চাকে ও মাকে একসঙ্গে ঢেকে দিতে হবে যাতে তারা হালকা গরম থাকে।

02:54 বাচ্চার মাথায় একটা টুপি দিয়ে রাখুন। 02:57

খেয়াল রাখুন – আমরা টুপি আর কাপড় পরবর্তী ছবিতে দেখাইনি।

03:04

এর ফলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র সময়ে বাচ্চার অবস্থান আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারব।

03:10

বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর, মায়ের হাত দিয়ে বাচ্চার পিঠে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মাকে সাহায্য করুন।

03:18

আসুন, বাচ্চার সক্ষমতা নিয়ে কথা বলি যেগুলো “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য সাহায্য করে।

03:24

জন্মের পর বাচ্চা খুব সতর্ক থাকে আর তার সহজাত প্রবৃত্তি থাকে।

03:29

তার অপরিষ্কার হাতের গন্ধ তার লালা উৎপাদনে সাহায্য করে।

03:35

তাছাড়া, বাচ্চা তার সীমিত দৃষ্টি দিয়ে তার মায়ের মুখ আর এরিওলা দেখতে পায়।

03:43

এরিওলা হল স্তনের বোঁটার চারিপাশের কালো অংশ।

03:47

অবশেষে, বাচ্চা তার হাত-পায়ের সাহায্যে নড়াচড়া করতে শুরু করে। সে ধীরে ধীরে মায়ের স্তনের দিকে এগিয়ে যায়।


03:57

যদিও, কিছু কিছু বাচ্চা সঙ্গে সঙ্গে এগোতে শুরু করে আর কিছু কিছু বাচ্চা সময় নেয়।

04:04

স্তনে পৌঁছে গিয়ে, বাচ্চা প্রথমে চেষ্টা করে তার হাত দিয়ে স্তনটি আঁকড়ে ধরতে।


04:12

এই সময়ে বাচ্চাকে ও মাকে কোনও বাধা দেবেন না, যতক্ষণ না বাচ্চা প্রথম বুকের দুধ খায়।

04:20

এই পদ্ধতির সময়ে, মা আর ধাই-মা দুজনকেই ধৈর্য ধরতে হবে।

04:27

প্রথমবার খাওয়ার জন্য, মায়ের স্তন পর্যন্ত পৌঁছতে বাচ্চার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট সময় লাগতে পারে।

04:35

বুকের দুধ খাওয়ানোর শুরুর সময়ে, বাচ্চা নিজের মুখ চওড়া করে খুলবে আর মায়ের স্তনের সঙ্গে লেপটে থাকবে।

04:45

খাওয়ানো শেষ হয়ে গেলে, বাচ্চাকে ওই একই অবস্থায় ঘণ্টা খানেকের মতো সময় থাকতে দিন।

04:52

এরকম করলে, মা ও বাচ্চার মধ্যে বন্ধন সুন্দর হয়ে ওঠে।

04:58

যদিও, মায়ের যদি কোনও ওষুধপত্র চলে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।


05:05

জন্ম দেওয়ার পর, কখনও কখনও এমন হতে পারে যে মাকে জন্ম দেওয়ার ঘর থেকে অন্য কোনও ঘরে নিয়ে যেতে হয়।

05:13

সেরকম ক্ষেত্রে, মাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে, আগে যেমন বলা হয়েছে, মায়ের তলপেটের ওপর বাচ্চাকে সঙ্গে সঙ্গে রেখে দুজনের ঘনিষ্ঠ ছোঁয়া দিতে হবে।


05:29

এখন, আসুন, অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে কথা বলি।

05:35

এটার জন্য, তলপেটের বদলে মায়ের বুকের ওপরে বাচ্চাকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে বাচ্চার পা দুটো মায়ের মাথার দিকে থাকে।

05:47

বাচ্চার বুক আর পেট মায়ের কাঁধে থাকবে আর মুখ থাকবে স্তনের ওপর।

05:54

অপারেশনের ঘরে যতক্ষণ সম্ভব বাচ্চাকে স্তন চুষতে দিন।

05:59

মনে রাখবেন, জন্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, মা ও বাচ্চা – দুজনের ত্বকের সঙ্গে ছোঁয়া লেগে থাকা যেকোনো সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সবথেকে জরুরি যত্ন হয়।

06:09

খেয়াল রাখবেন, “স্তন খুঁজে নেওয়া” সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই জন্মের পর সদ্যোজাত বাচ্চার অন্যান্য যত্ন নেওয়া উচিৎ।

06:17

এখন, আসুন, সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র গুরুত্ব সম্বন্ধে কথা বলি।

06:23

স্তন খুঁজে নিলে বাচ্চা মায়ের প্রথম দুধ, যেটাকে “কোলোস্ট্রাম” বলে, সেটা খেতে পারে।

06:29

এটার রং হালকা হলদেটে হয় আর ঘন গাঢ় হয়।

06:33

খেয়াল রাখবেন, জন্মের পর প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে, বাচ্চা যতটা পরিমাণ কোলোস্ট্রাম খায়, এটা তত বাড়তে থাকে।

06:43

প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় একেকটি স্তন থেকে প্রথম দিনে বাচ্চা ৫ মিলিলিটার খায়,

06:47

দ্বিতীয় দিনে ১০ মিলিলিটার,

06:50

তৃতীয় দিনে ২৫ মিলিলিটার,

06:53

চতুর্থ দিনে ৪০ মিলিলিটার আর পঞ্চম দিনে ৫৫ মিলিলিটার।

07:05

সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য এটা যথেষ্ট।

07:09

সুতরাং, কোলোস্ট্রাম ছাড়া বাচ্চাকে আর কিছু খাওয়ানোর দরকার নেই।

07:15

“কোলোস্ট্রাম” বাচ্চার জন্য প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে আর এতে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য দরকারি প্রোটিনগুলো থাকে যেগুলো বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

07:27

জন্মের পর এটাই বাচ্চার প্রথম শক্তি ও ক্ষমতার উৎস।

07:33

“কোলোস্ট্রাম” রক্তে “গ্লুকোজের” পরিমাণ কম হতে দেয় না।

07:37

এটা বাচ্চার অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াগুলো বজায় রাখে।

07:42

এটা বাচ্চার মগজের (ব্রেন) ভালো বিকাশ করতে সাহায্য করে।

07:46

এটা বাচ্চাকে প্রথম পায়খানা করতে সাহায্য করে।

07:50

“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চার শরীর হালকা গরমও থাকে, কারণ মায়ের শরীরের সঙ্গে তার শরীর ছুঁয়ে থাকে।

07:57

মায়ের স্তনের সঙ্গে কিভাবে লেপটে থাকবে সেটা বাচ্চা নিজে নিজে শিখে নেয়।

08:04.

“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র ফলে মায়ের শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার শরীরেও যায়।

08:08

এই ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার অন্ত্রে ঢুকে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে।

08:13

মোট কথা, এটা বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

08:18

“স্তন খুঁজে নেওয়া” বাচ্চার মধ্যে ভালোবাসা আর সুরক্ষার অনুভূতি নিয়ে আসে, ফলে মা ও বাচ্চার মধ্যে বাঁধন সুন্দর হয়।

08:29

“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র কারণে মায়েরও অনেক উপকার হয়।

08:34

বাচ্চার পায়ের নড়াচড়াগুলো মায়ের জরায়ুতে চাপ দেয়। এই চাপ জরায়ুর সংকোচনে আর ফুল খসতে সাহায্য করে।

08:45

বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করলে মায়ের শরীরে ‘অক্সিটোসিন” বাড়ে।

08:51

“অক্সিটোসিন” বাড়লে জরায়ুর ফুল খসতেও সাহায্য হয়।

08:56

এইভাবে, “স্তন খুঁজে নেওয়া” মায়েদের রক্ত কম হয়ে যাওয়া এবং “রক্তাল্পতা” রোগ কম করতে পারে।

09:03

যখন শরীরে লাল রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যায়, সেটাকে বলে “রক্তাল্পতা”।

09:08

এর ফলে মায়ের ক্লান্তি আর দুর্বলতা হতে পারে।

09:13

সুতরাং, “স্তন খুঁজে নেওয়া” হল মা ও বাচ্চা দুজনের জন্যেই খুবই উপকারি একটা প্রাকৃতিক উপায়।

09:21

“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র এই প্রশিক্ষণ এখানেই শেষ হল।

09:26

এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখলাম: স্তন খুঁজে নেওয়া কাকে বলে,

09:30

স্তন খুঁজে নেওয়ার পদ্ধতি আর গুরুত্ব।

09:37

এই প্রশিক্ষণে “আইআইটি বম্বে-র মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-এর অবদান রয়েছে।

09:43

“মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-টি ভারত সরকারের “এনএমইআইসিটি, এমএইচআরডি”-এর আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত।

09:49

এই উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও খোঁজখবর এই লিংকে পাওয়া যাবে।

09:54

এই প্রশিক্ষণে “হুইলস গ্লোবাল ফাউন্ডেশন” আংশিকভাবে আর্থিক অনুদান দিয়েছে।

10:01

এই প্রশিক্ষণ “মা ও শিশুর পোষণ” প্রকল্পের একটি অংশ। এই প্রশিক্ষণের কার্যক্ষেত্র পর্যালোচনাকারী হলেন ডাঃ রুপাল দালাল, শিশুরোগ বিষয়ে এমডি।

10:12

“আইআইটি বম্বে” থেকে আমি পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ রজনী সাওান্ত এবং সঙ্গে অ্যানিমেটর অর্থী আনবালাগান এখন আপনাদের বিদায় জানাচ্ছি।

আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

Contributors and Content Editors

Debosmita, Sakinashaikh, Sneharout321