Difference between revisions of "Health-and-Nutrition/C2/Breast-crawl/Bengali"
Sneharout321 (Talk | contribs) (Breast Crawl) |
Sneharout321 (Talk | contribs) (Breast Crawl) |
||
Line 22: | Line 22: | ||
যেকোনো বাচ্চা খাওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মায়। | যেকোনো বাচ্চা খাওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মায়। | ||
− | + | ||
− | | 00:28 | + | | 00:28 |
− | + | ||
জন্মদানের পরপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রাখলে, বাচ্চা মায়ের স্তন খুঁজে নিতে পারে আর বুকের দুধ খাওয়া শুরু করতে পারে। | জন্মদানের পরপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রাখলে, বাচ্চা মায়ের স্তন খুঁজে নিতে পারে আর বুকের দুধ খাওয়া শুরু করতে পারে। | ||
− | |||
| 00:40 | | 00:40 | ||
− | |||
এই পুরো পদ্ধতিকে বলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”। | এই পুরো পদ্ধতিকে বলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”। | ||
Revision as of 19:14, 2 May 2019
| 00:00 “ব্রেস্ট ক্রল” বা “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে “মৌখিক প্রশিক্ষণ”-এ আপনাকে স্বাগত জানাই।
|- | 00:05 এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখব: “স্তন খুঁজে নেওয়া” কাকে বলে,
|- | 00:10 স্তন খুঁজে নেওয়ার উপায় আর
|- | 00:13 স্তন খুঁজে নেওয়ার গুরুত্ব।
|- | 00:18 আসুন, প্রথমে আমরা বুঝে নিই, “স্তন খুঁজে নেওয়া” কাকে বলে।
| 00:23 যেকোনো বাচ্চা খাওয়ার একটা সহজাত প্রবৃত্তি নিয়ে জন্মায়।
| 00:28
জন্মদানের পরপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রাখলে, বাচ্চা মায়ের স্তন খুঁজে নিতে পারে আর বুকের দুধ খাওয়া শুরু করতে পারে।
| 00:40 এই পুরো পদ্ধতিকে বলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”।
| 00:46
খেয়াল রাখা দরকার যে “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র এই কাজটি পূর্ণ মেয়াদের, স্থিতিশীল স্বাস্থ্যের বাচ্চা যারা প্রাকৃতিকভাবে বা অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নিয়েছে, তাদের ওপর করা যায়।
| 00:58
আর, যারা জন্মানোর পরপর ভালোভাবে কেঁদেছে।
| 01:03 “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র কাজটি অস্থিতিশীল স্বাস্থ্যের বাচ্চাদের, যাদের জন্মের সময়ে ওজন কম হয়েছে, তাদের ওপর করা যায় না। কারণ, এতে তাদের নিঃশ্বাসের সমস্যা হতে পারে, যেমন নিঃশ্বাস আটকে যাওয়া।
| 01:15 এখন, আমরা এই পদ্ধতিটি শিখব আর এরপর এটির গুরুত্ব জানব।
| 01:22
প্রথমে, দেখতে হবে যে জন্মদানের ঘরের তাপমাত্রা যেন ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে থাকে।
|01:29
এরপর বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর রেখে তাকে পরিষ্কার করুন।
| 01:35
একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে হাত দুটো ছাড়া বাচ্চার সারা শরীর পরিষ্কার করুন।
| 01:42 মনে রাখবেন, বাচ্চার হাত দুটো ভেজা রাখতে হবে।
| 01:46
পরিষ্কার করার সময়ে বাচ্চার ত্বকের ওপর সাদা রঙের পাতলা আবরণ তুলে ফেলবেন না।
| 01:53
ঠাণ্ডা আবহাওয়া থাকলে এটি তাকে সুরক্ষা দেয়।
| 01:56 বাচ্চাকে পরিষ্কার করার পর ভেজা কাপড়টা সরিয়ে ফেলুন।
| 02:01 বাচ্চাকে শুকনো করে, ধাই-মা নাড়ির ধুকপুকুনি পরীক্ষা করবেন।
| 02:08 যখন সেটির ধুকপুকুনি থেমে যাবে, তিনি তন্ত্রীটি কেটে দেবেন।
| 02:13 তারপর, বাচ্চাকে মায়ের খোলা তলপেটের ওপর এমনভাবে রাখতে হবে যাতে তার পেটের সঙ্গে মায়ের পেট ছুঁয়ে থাকে।
| 02:22 মায়ের দুই না-ধোয়া স্তনের মাঝে বাচ্চার মাথাটা রাখতে হবে।
| 02:26
মায়ের স্তনের নীচে বাচ্চার মুখ থাকবে।
| 02:30
এখন “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চাকে ঠিকভাবে রাখা হল।
|- | 02:37 | As moving forward is very natural for a newborn baby, she can easily crawl forward towards mother’s breast. সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়া খুব স্বাভাবিক হয়, তাই সে সহজেই মায়ের স্তনের দিকে এগিয়ে যেতে পারে।
|- | 02:46 | Next thing to do is- cover the baby and mother together with a clean dry cloth to keep them warm. এরপর যেটা করতে হবে – একটা পরিষ্কার শুকনো কাপড় দিয়ে বাচ্চাকে ও মাকে একসঙ্গে ঢেকে দিতে হবে যাতে তারা হালকা গরম থাকে।
| 02:54
| বাচ্চার মাথায় একটা টুপি দিয়ে রাখুন।
| 02:57
খেয়াল রাখুন – আমরা টুপি আর কাপড় পরবর্তী ছবিতে দেখাইনি।
| 03:04 এর ফলে “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র সময়ে বাচ্চার অবস্থান আমরা ভালোভাবে বুঝতে পারব।
| 03:10 বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়ার পর, মায়ের হাত দিয়ে বাচ্চার পিঠে আশ্রয় দেওয়ার জন্য মাকে সাহায্য করুন।
| 03:18 আসুন, বাচ্চার সক্ষমতা নিয়ে কথা বলি যেগুলো “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য সাহায্য করে।
| 03:24 জন্মের পর বাচ্চা খুব সতর্ক থাকে আর তার সহজাত প্রবৃত্তি থাকে।
| 03:29 তার অপরিষ্কার হাতের গন্ধ তার লালা উৎপাদনে সাহায্য করে।
| 03:35 তাছাড়া, বাচ্চা তার সীমিত দৃষ্টি দিয়ে তার মায়ের মুখ আর এরিওলা দেখতে পায়।
| 03:43
এরিওলা হল স্তনের বোঁটার চারিপাশের কালো অংশ।
| 03:47 অবশেষে, বাচ্চা তার হাত-পায়ের সাহায্যে নড়াচড়া করতে শুরু করে। সে ধীরে ধীরে মায়ের স্তনের দিকে এগিয়ে যায়।
| 03:57
যদিও, কিছু কিছু বাচ্চা সঙ্গে সঙ্গে এগোতে শুরু করে আর কিছু কিছু বাচ্চা সময় নেয়।
| 04:04
স্তনে পৌঁছে গিয়ে, বাচ্চা প্রথমে চেষ্টা করে তার হাত দিয়ে স্তনটি আঁকড়ে ধরতে।
| 04:12
এই সময়ে বাচ্চাকে ও মাকে কোনও বাধা দেবেন না, যতক্ষণ না বাচ্চা প্রথম বুকের দুধ খায়।
| 04:20
এই পদ্ধতির সময়ে, মা আর ধাই-মা দুজনকেই ধৈর্য ধরতে হবে।
| 04:27 প্রথমবার খাওয়ার জন্য, মায়ের স্তন পর্যন্ত পৌঁছতে বাচ্চার ৩০ থেকে ৬০ মিনিট সময় লাগতে পারে।
| 04:35
বুকের দুধ খাওয়ানোর শুরুর সময়ে, বাচ্চা নিজের মুখ চওড়া করে খুলবে আর মায়ের স্তনের সঙ্গে লেপটে থাকবে।
| 04:45 খাওয়ানো শেষ হয়ে গেলে, বাচ্চাকে ওই একই অবস্থায় ঘণ্টা খানেকের মতো সময় থাকতে দিন।
| 04:52. এরকম করলে, মা ও বাচ্চার মধ্যে বন্ধন সুন্দর হয়ে ওঠে।
| 04:58
যদিও, মায়ের যদি কোনও ওষুধপত্র চলে, তাহলে ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করে নেবেন।
| 05:05
জন্ম দেওয়ার পর, কখনও কখনও এমন হতে পারে যে মাকে জন্ম দেওয়ার ঘর থেকে অন্য কোনও ঘরে নিয়ে যেতে হয়।
|05:13 সেরকম ক্ষেত্রে, মাকে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে, আগে যেমন বলা হয়েছে, মায়ের তলপেটের ওপর বাচ্চাকে সঙ্গে সঙ্গে রেখে দুজনের ঘনিষ্ঠ ছোঁয়া দিতে হবে।
| 05:29 এখন, আসুন, অপারেশনের (সিজারিয়ান) মাধ্যমে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া” বিষয়ে কথা বলি।
| 05:35 এটার জন্য, তলপেটের বদলে মায়ের বুকের ওপরে বাচ্চাকে এমনভাবে রাখতে হবে যাতে বাচ্চার পা দুটো মায়ের মাথার দিকে থাকে।
| 05:47
বাচ্চার বুক আর পেট মায়ের কাঁধে থাকবে আর মুখ থাকবে স্তনের ওপর।
| 05:54 অপারেশনের ঘরে যতক্ষণ সম্ভব বাচ্চাকে স্তন চুষতে দিন।
| 05:59
মনে রাখবেন, জন্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, মা ও বাচ্চা – দুজনের ত্বকের সঙ্গে ছোঁয়া লেগে থাকা যেকোনো সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য সবথেকে জরুরি যত্ন হয়।
| 06:09 খেয়াল রাখবেন, “স্তন খুঁজে নেওয়া” সম্পূর্ণ হওয়ার পরেই জন্মের পর সদ্যোজাত বাচ্চার অন্যান্য যত্ন নেওয়া উচিৎ।
| 06:17
এখন, আসুন, সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র গুরুত্ব সম্বন্ধে কথা বলি।
| 06:23 স্তন খুঁজে নিলে বাচ্চা মায়ের প্রথম দুধ, যেটাকে “কোলোস্ট্রাম” বলে, সেটা খেতে পারে।
| 06:29
এটার রং হালকা হলদেটে হয় আর ঘন গাঢ় হয়।
| 06:33
খেয়াল রাখবেন, জন্মের পর প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে, বাচ্চা যতটা পরিমাণ কোলোস্ট্রাম খায়, এটা তত বাড়তে থাকে।
| 06:43 প্রত্যেকবার বুকের দুধ খাওয়ানোর সময় একেকটি স্তন থেকে প্রথম দিনে বাচ্চা ৫ মিলিলিটার খায়,
| 06:47
দ্বিতীয় দিনে ১০ মিলিলিটার,
| 06:50 তৃতীয় দিনে ২৫ মিলিলিটার,
| 06:53 চতুর্থ দিনে ৪০ মিলিলিটার আর পঞ্চম দিনে ৫৫ মিলিলিটার।
| 07:05 সদ্যোজাত বাচ্চার জন্য এটা যথেষ্ট।
| 07:09 সুতরাং, কোলোস্ট্রাম ছাড়া বাচ্চাকে আর কিছু খাওয়ানোর দরকার নেই।
| 07:15 “কোলোস্ট্রাম” বাচ্চার জন্য প্রথম টিকা হিসেবে কাজ করে আর এতে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জন্য দরকারি প্রোটিনগুলো থাকে যেগুলো বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
| 07:27
জন্মের পর এটাই বাচ্চার প্রথম শক্তি ও ক্ষমতার উৎস।
| 07:33
“কোলোস্ট্রাম” রক্তে “গ্লুকোজের” পরিমাণ কম হতে দেয় না।
| 07:37
এটা বাচ্চার অন্যান্য শারীরিক ক্রিয়াগুলো বজায় রাখে।
| 07:42
এটা বাচ্চার মগজের (ব্রেন) ভালো বিকাশ করতে সাহায্য করে।
|07:46
এটা বাচ্চাকে প্রথম পায়খানা করতে সাহায্য করে।
| 07:50 “স্তন খুঁজে নেওয়া”-র জন্য বাচ্চার শরীর হালকা গরমও থাকে, কারণ মায়ের শরীরের সঙ্গে তার শরীর ছুঁয়ে থাকে।
|07:57
মায়ের স্তনের সঙ্গে কিভাবে লেপটে থাকবে সেটা বাচ্চা নিজে নিজে শিখে নেয়।
| 08:04
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র ফলে মায়ের শরীরের ভালো ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার শরীরেও যায়।
| 08:08.
এই ব্যাকটেরিয়াগুলো বাচ্চার অন্ত্রে ঢুকে রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করে।
| 08:13
মোট কথা, এটা বাচ্চার রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
| 08:18. “স্তন খুঁজে নেওয়া” বাচ্চার মধ্যে ভালোবাসা আর সুরক্ষার অনুভূতি নিয়ে আসে, ফলে মা ও বাচ্চার মধ্যে বাঁধন সুন্দর হয়।
|08:29
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র কারণে মায়েরও অনেক উপকার হয়।
| 08:34
বাচ্চার পায়ের নড়াচড়াগুলো মায়ের জরায়ুতে চাপ দেয়। এই চাপ জরায়ুর সংকোচনে আর ফুল খসতে সাহায্য করে।
| 08:45 বুকের দুধ খাওয়ানো শুরু করলে মায়ের শরীরে ‘অক্সিটোসিন” বাড়ে।
| 08:51
“অক্সিটোসিন” বাড়লে জরায়ুর ফুল খসতেও সাহায্য হয়।
| 08:56
এইভাবে, “স্তন খুঁজে নেওয়া” মায়েদের রক্ত কম হয়ে যাওয়া এবং “রক্তাল্পতা” রোগ কম করতে পারে।
| 09:03
যখন শরীরে লাল রক্তকণিকার সংখ্যা কমে যায়, সেটাকে বলে “রক্তাল্পতা”।
| 09:08 এর ফলে মায়ের ক্লান্তি আর দুর্বলতা হতে পারে।
| 09:13
সুতরাং, “স্তন খুঁজে নেওয়া” হল মা ও বাচ্চা দুজনের জন্যেই খুবই উপকারি একটা প্রাকৃতিক উপায়।
| 09:21
“স্তন খুঁজে নেওয়া”-র এই প্রশিক্ষণ এখানেই শেষ হল।
| 09:26 এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখলাম: স্তন খুঁজে নেওয়া কাকে বলে,
| 09:30
স্তন খুঁজে নেওয়ার পদ্ধতি আর গুরুত্ব।
| 09:37
এই প্রশিক্ষণে “আইআইটি বম্বে-র মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-এর অবদান রয়েছে।
| 09:43 “মৌখিক প্রশিক্ষণ প্রকল্প”-টি ভারত সরকারের “এনএমইআইসিটি, এমএইচআরডি”-এর আর্থিক অনুদান প্রাপ্ত।
| 09:49
এই উদ্দেশ্য সম্বন্ধে আরও খোঁজখবর এই লিংকে পাওয়া যাবে।
| 09:54 এই প্রশিক্ষণে “হুইলস গ্লোবাল ফাউন্ডেশন” আংশিকভাবে আর্থিক অনুদান দিয়েছে।
| 10:01
এই প্রশিক্ষণ “মা ও শিশুর পোষণ” প্রকল্পের একটি অংশ। এই প্রশিক্ষণের কার্যক্ষেত্র পর্যালোচনাকারী হলেন ডাঃ রুপাল দালাল, শিশুরোগ বিষয়ে এমডি।
| 10:12
“আইআইটি বম্বে” থেকে আমি পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ রজনী সাওান্ত এবং সঙ্গে অ্যানিমেটর অর্থী আনবালাগান এখন আপনাদের বিদায় জানাচ্ছি।
আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।