Difference between revisions of "Health-and-Nutrition/C2/Kangaroo-Mother-Care/Bengali"
Sneharout321 (Talk | contribs) (Created page with " {|border=1 |<center>Time</center> |<center>Narration</center> |- |00:00 |“ক্যাঙ্গারুমায়েরযত্ন” বিষয়ে মৌ...") |
|||
Line 596: | Line 596: | ||
|“ক্যাঙ্গারু মায়ের যত্ন” সম্বন্ধে আমাদের এই প্রশিক্ষণটি এখানেই শেষ হল। | |“ক্যাঙ্গারু মায়ের যত্ন” সম্বন্ধে আমাদের এই প্রশিক্ষণটি এখানেই শেষ হল। | ||
+ | এখানে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। | ||
|- | |- | ||
− | |||
− | |||
− | |||
|} | |} |
Latest revision as of 17:18, 31 July 2020
| |
00:00 | “ক্যাঙ্গারুমায়েরযত্ন” বিষয়ে মৌখিক প্রশিক্ষণে আপনাকে স্বাগতজানাই। |
00:05 | এই প্রশিক্ষণটিতে আমরা শিখব - |
00:08 | “ক্যাঙ্গারুমায়েরযত্ন”কাকে বলে? |
00:10 | উপাদান, গুরুত্ব এবং |
00:13 | এটির পদ্ধতি |
00:17 | আসুন,“ক্যাঙ্গারুমায়েরযত্ন”-এরগোড়ারকথা জেনে নিই। |
00:22 | এই নামটা শুনলেই যেমন বোঝা যায় – |
00:24 | এই কাজটি বাচ্চাকে মায়ের শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে রাখার সঙ্গে জড়িত। |
00:29 | আর, এটি “কেএমসি” নামে জনপ্রিয়। |
00:32 | মনে রাখবেন, বাচ্চা জন্মানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব “কেএমসি” দেওয়া দরকার। |
00:39 | বিশেষকরেযেসববাচ্চারজন্মের সময়ে ওজনকম হয়,তাদেরজন্য এটি দিতে বলা হয়- |
00:44 | জন্মের পর যাদের ওজন ২.৫ কিলোগ্রামের কম হয়, আর |
00:48 | যাদের সর্বদা চোখে চোখে রাখার প্রয়োজন নেই |
00:52 | যদিও, এটি সমস্ত সাধারণ, সুস্থ, পুরো মেয়াদের পরে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের জন্যও ব্যবহার করা যেতেপারে। |
00:59 | “কেএমসি”-তে দুটি প্রধান জিনিস আছে: |
01:03 | লাগাতার এবং অনেকক্ষণ ধরে মা আর বাচ্চা দুজনে একে অন্যের শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। |
01:09 | এবং কেবল মায়ের দুধ খাওয়ানো |
01:13 | আসুন, এই জিনিসগুলি নিয়ে কথা বলি। |
01:17 | প্রথম জিনিসটি হল শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে রাখা। |
01:21 | এটি লেট ডাউন রিফ্লেক্স বা অনায়াসে দুধ বের হওয়ার প্রতিক্রিয়াকে আরও ভালো করে। |
01:24 | আর,তার ফলে বুকের দুধের উৎপাদন বাড়ায়। |
01:28 | দুধ বের হওয়ার অনায়াস প্রতিক্রিয়া (লেট ডাউন রিফ্লেক্স ) সম্বন্ধে এই সিরিজেরই আরেকটি প্রশিক্ষণে বলা হয়েছে। |
01:34 | দ্বিতীয় জিনিসটি হল কেবল মায়ের দুধ খাওয়ানো। |
01:38 | মনে রাখবেন যে- |
01:40 | প্রথম ৬ মাসের জন্য কেবল মায়ের দুধ খাওয়ানোর কথা বিশেষভাবে বলা হয়। |
01:45 | আসুন, এরপর আমরা “ক্যাঙ্গারু যত্ন” করা কেন দরকার সেটি নিয়ে কথা বলা। |
01:50 | “কেএমসি”-র সময়ে অনেকক্ষণধরে মা নিজের বাচ্চার শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে বাচ্চার শরীরের উষ্ণতা ভালো থাকে। |
01:57 | আর, বাচ্চা নিজেকে আরও বেশি নিরাপদ মনে করে। |
02:01 | “কেএমসি” এগুলো কমিয়ে দেয় - |
02:03 | বাচ্চার বারবার অসুখ বা রোগ হওয়া,আর |
02:05 | “অ্যাপনিয়া” বা ঘুমোনোর সময়ে নিঃশ্বাস আটকে যাওয়ার হার। |
02:09 | “অ্যাপনিয়া” বলতে অনেকক্ষণ নিঃশ্বাস আটকে যাওয়া বোঝায়। |
02:13 | এগুলি ছাড়াও- |
02:15 | “কেএমসি” বারবার বুকের দুধ খাওয়ানো এবং খাওয়ানোর সময় বাড়ায়। |
02:20 | আর, এটি মা ও বাচ্চার মধ্যে মানসিক বন্ধন মজবুত করে। |
02:26 | “কেএমসি” বাচ্চাকে - |
02:28 | অন্যান্য প্রচলিত উপায়ের থেকেওজন বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যান্য উপায়, যেমন - |
02:33 | র্যাডিয়ান্ট ওয়ার্মার-এ বা কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চার শরীরের উষ্ণতা একই রাখার পদ্ধতি। |
02:36 | যেটি বাচ্চা ও তার মায়ের জন্য চাপ তৈরি করে। |
02:40 | এটি মায়ের তৃপ্তি ও আত্মবিশ্বাসও বাড়ায় - |
02:45 | কারণ, তিনি বাচ্চার জন্য বাড়তি সেবা করেন। |
02:49 | মজার ব্যাপার হল, মাকে ছাড়াও “কেএমসি” দেওয়া যেতে পারে - |
02:54 | যেমন, বাবা, বা |
02:56 | পরিবারের যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য। |
02:58 |
এখন, যারা “কেএমসি” দিতে পারেন তাদের যে বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে সেগুলি নিয়ে আমরা কথা বলব: |
03:04 | যিনি “কেএমসি” দেবেন তাকে সুস্থ হতে হবে এবং তার কোনও অসুখ থাকবে না। |
03:09 | তাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধিগুলি অভ্যাস করতে হবে, যেমন- |
03:14 | হাত ধোওয়া, |
03:16 | প্রতিদিন স্নান করা,
|
03:18 | চুল বাঁধা বা আঁচড়ানো |
03:20 | আর, পরিষ্কার জামাকাপড় পরা। |
03:22 | তিনি কোনও গয়নাগাটি, ঘড়ি ওকার বা সুতোর মতো কিছু পরবেন না- |
03:26 | কারণ, এগুলি স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বাধা দিতে পারে। |
03:31 | আর, এগুলিতে বাচ্চা আঘাত পেতে পারে। |
03:35 | আসুন, এখন যিনি “কেএমসি” দিচ্ছেন তিনি কি ধরনের জামাকাপড় পরবেনতা নিয়ে কথা বলি- |
03:42 | জামাকাপড় হালকা ও সামনের দিকে খোলা হবে। |
03:46 | যেমন, শাড়ি-ব্লাউজ বা সামনের দিকে খোলা লম্বা জামা। |
03:51 | মনে রাখবেন,
যিনি “কেএমসি” দিচ্ছেন তিনি “কেএমসি” মুড়ে রাখার জন্য সামনের দিকে খোলা লম্বা জামা বা ব্লাউজ পরবেন। |
03:58 | “ক্যাঙ্গারু” থলে বা মোড়াবার জিনিস বাজার থেকেও কিনে আনা যেতে পারে। |
04:04 | বাড়তি সময়ের জন্যে “কেএমসি” করতে হলে এগুলো কাজে লাগে। |
04:09 | এর বদলে, যিনি “কেএমসি” দিচ্ছেন তিনি পরিষ্কার নরম সুতির কাপড় ব্যবহার করতে পারেন। |
04:16 | আবার, “কেএমসি”-র সময়ে বাচ্চা - |
04:19 | একটি টুপি আর লেংটি পরে থাকবে। |
04:22 | যদি বাচ্চা “কেএমসি”-র সময়ে পায়খানা-পেচ্ছাপ করে, তাহলে |
04:27 | তাকে পুরোপুরি পরিষ্কার ও শুকনো করে নিতে হবে। |
04:30 | এরপর, আমরা “ক্যাঙ্গারু যত্ন”-এর পদ্ধতি নিয়ে আরও বিস্তারিত জানব। |
04:36 | প্রথমে, মাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে। |
04:40 | তারপরে, স্বাস্থ্যকর্মী বা পরিবারের কোনও একজন ধাপে ধাপে নিচের কাজগুলি করবেন - |
04:48 | বাচ্চার শরীরের নিচের দিক ও মাথাটা ধরে |
04:51 | বাচ্চাকে সোজা করে মায়ের কাপড় না পরাদুটো স্তনের মাঝখানে রাখতে হবে। |
04:56 | তারপরে, বাচ্চার মাথাটা একদিকে ফেরাতে হবে। |
05:00 | নিশ্চিত করুন,
বাচ্চার মাথাটা যেন পেছনের দিকে সামান্য হেলানো থাকে। |
05:04 | এই অবস্থায় -
বাচ্চার নাকে হাওয়া চলাচল করতে পারবে |
05:08 | আর, বাচ্চা মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবে। |
05:14 | এরপর,বাচ্চারপাছাবাইরেরদিকেসামান্যহেলিয়েরাখুন। |
05:18 | মনেরাখবেন-
বাচ্চার হাতদুটো মায়ের স্তনের ওপরেথাকবে, আর |
05:23 | পাদুটো মায়ের স্তনের নিচে থাকবে, আর |
05:27 | বাচ্চার তলপেট মায়ের বুকে থাকবে। |
05:29 | কাপড় দিয়ে মোড়ার আগে - |
05:32 | ঠাণ্ডার সময়ে বাচ্চাকে একটি কম্বল ঢাকা দিন। |
05:36 | এতে মা ও বাচ্চা দুজনেই উষ্ণ থাকবে। |
05:39 | এরপর,
মায়ের ও বাচ্চার বুক ও তলপেট একটি কাপড় দিয়ে মুড়ে দিন। |
05:45 | মুড়ে দেওয়ার সময়ে নিশ্চিত করুন - |
05:47 | কাপড়টার মাঝখানটা যেন বাচ্চার ওপর থাকে। |
05:50 | এবং কাপড়টার দুই ধার |
05:53 | মায়ের বগলের তলা দিয়ে থাকবে |
05:56 | আর, পিঠের দিকে আড়াআড়ি ভাবে থাকবে। |
05:59 | এরপর,কাপড়টার শেষ দুটো দিক সামনের দিকে নিয়ে আসুন। |
06:03 | কাপড়টার এই শেষ দিক দুটো বাচ্চার পাছার নীচে সাবধানে গিঁট দিয়ে বাঁধুন। |
06:09 | এতে আরাম হবে আর বাচ্চাকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে। |
06:14 | এতে বাচ্চার পিছলে যাওয়াও আটকাবে। |
06:17 | মনে রাখবেন
মায়ের অবস্থা ভালো হয়ে গেলে,তাকে নিজেকেই বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে মুড়তে শিখতে হবে। |
06:24 | একই সিরিজের আরেকটি প্রশিক্ষণে “কেএমসি”-র সময়ে নিজে নিজে মোড়ানোর পদ্ধতি সম্বন্ধে বলা হবে। |
06:32 | এটি মায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং তাকে স্বাবলম্বী করে তুলবে। |
06:37 | যদি মায়ের কাপড় ব্যবহার করতেঅসুবিধাহয়, তাহলে তিনি স্ট্রেচি ব্যান্ড বা টেনে লম্বা করা যায় এরকম বাঁধন ব্যবহার করতে পারেন। |
06:43 | এটি সহজ এবং ব্যবহার করার জন্য আরামদায়ক। |
06:46 | স্ট্রেচি ব্যান্ড ব্যবহার করার সময়ে - |
06:49 | বাচ্চার মাথাকে ধরে রাখার জন্য বাঁধনটির শেষ দিকতার কানের ওপর দিয়ে দিন। |
06:54 | তারপরে, বাচ্চার মাথা সামান্য কাত করুন - |
06:57 | ভালোভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য,আর |
06:59 | আগে যেমন বলা হয়েছে, মায়ের চোখের দিকে তাকানোর জন্য। |
07:04 | মোড়ানোর কাপড় বা স্ট্রেচি ব্যান্ড খুব আঁটসাঁট বা খুব আলগা হবে না। |
07:11 | এটি বাচ্চাকেভালোভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য আরামদায়ক হতে হবে। |
07:15 | মনে রাখবেন, বাচ্চাকে “কেএমসি” অবস্থায় কোথাও নিয়ে যাওয়ার সময়ে, মা যেন - |
07:20 | হাঁটতে,
দাঁড়াতে, বসতে,বা |
07:23 | অন্যান্য কাজকর্ম করতে পারেন। |
07:26 | যদি মা খুব আরামদায়ক অবস্থানে থাকেন, তাহলে |
07:29 | তিনি “ক্যাঙ্গারু যত্ন”-এর সময়ে হেলান দিয়ে বা আধা-হেলান দিয়ে ঘুমোতেও পারবেন। |
07:35 | আসুন, এখন “কেএমসি”-র সময়ে বাচ্চাকে কিভাবে খাওয়াবেন, তা নিয়ে কথা বলি। |
07:40 | মা বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন, |
07:43 | মোড়ানোর কাপড়টা সামান্য আলগা করে, আর |
07:46 | বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বাচ্চাকে ঠিকভাবে ধরে রাখতে হবে |
07:50 | বা, তিনি হাতের চাপে বুকের দুধ বার করতে পারেন, আর |
07:54 | বাচ্চাকে একটি ঝিনুক বা চামচ দিয়ে খাওয়াতে পারেন। |
07:57 | মনে রাখবেন,
বাচ্চার ওজন যেন প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম বাড়ে। |
08:03 | আশা করা হয় যে, একমাসে বাচ্চার ওজন ৯০০ থেকে ১,০০০ গ্রাম পর্যন্ত বাড়বে। |
08:10 | সুতরাং, মা বা স্বাস্থ্যকর্মীকে - |
08:13 | নিয়মিত চেক-আপেরসময়ে বাচ্চার ওজন খেয়ালরাখতে হবে। |
08:17 | যদি বাচ্চারওজন যথেষ্ট না বাড়ে |
08:21 | স্বাস্থ্যকর্মী মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি পরীক্ষা করবেন, বা |
08:25 | বাচ্চা কতবার পেচ্ছাপ করছে তা পরীক্ষা করবেন |
08:28 | ঠিক করে বাচ্চার ঠোঁট লাগানোরব্যাপারে মাকে পরামর্শ দেবেন। |
08:32 | বুকের সাথে গভীর সংযোগ বা ঠিক করেঠোঁট লাগানো সম্বন্ধে এই সিরিজের আরেকটি প্রশিক্ষণে বলা হয়েছে। |
08:39 | এরপর,
আসুন, শিখে নিই বাচ্চাকে কিভাবে মুড়ে রাখা কাপড় থেকে বের করবেন - |
08:44 | প্রথমে, মাকে সোজা হয়ে বসতে হবে। |
08:48 | তারপর, একটা হাত দিয়ে গিঁট খোলা শুরু করতে হবে, আর |
08:53 | মোড়ানো কাপড়টার বাইরের দিকে অন্য হাত দিয়ে বাচ্চার শরীরের নিচের দিক ধরে রাখতে হবে। |
08:58 | এরপরে -
আগে যে হাত দিয়ে গিঁট খোলা হয়েছিল, সেই হাত দিয়ে মুড়ে রাখা কাপড়টা আলগা করতে হবে। |
09:04 | তারপর -
যে কাপড়টা বাচ্চার শরীরের নিচের দিকে ধরা ছিল, সেটার নিচে দিয়ে হাত পালটে নিয়ে |
09:11 | অন্য হাতটা দিয়ে কাপড়ের বাইরের দিক থেকে বাচ্চার শরীরের নিচের দিক ধরে রাখুন। |
09:16 | তারপর, বাচ্চাকে ওপর দিকে তুলে তাকে মুড়ে রাখা কাপড় থেকে ছাড়িয়েনিন। |
09:21 | মনে রাখুন, এরপর বাচ্চার মাথাটাকে এমনভাবে ধরতে - |
09:26 | যাতে বুড়ো আঙুলটা একটা কানের পেছনে থাকে, আর |
09:28 | অন্য আঙুলগুলো আরেকটা কানকে ঘিরে থাকে। |
09:30 | “কেএমসি”-র সময়ে - |
09:32 | মা সঙ্গে সঙ্গেডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীকে খবর দেবেন - |
09:37 | যদি বাচ্চা সতেজ, সতর্ক এবং সক্রিয় না থাকে। |
09:41 | যদি বাচ্চা খুব তাড়াতাড়ি বা খুব থেমে থেমে নিঃশ্বাস নেয়। |
09:46 | যদি বাচ্চার ঠোঁট ও জিভ নীল হয়ে যায় |
09:50 | আর, যদি বাচ্চার পাদুটো ঠাণ্ডা হয়ে যায় |
09:53 | “ক্যাঙ্গারু মায়ের যত্ন” সম্বন্ধে আমাদের এই প্রশিক্ষণটি এখানেই শেষ হল।
এখানে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই। |