Health-and-Nutrition/C2/Physical-methods-to-increase-the-amount-of-breastmilk/Bengali

From Script | Spoken-Tutorial
Revision as of 16:46, 29 May 2019 by Sakinashaikh (Talk | contribs)

Jump to: navigation, search
Time Narration
00:02 শারীরিকউপায়েবুকেরদুধেরপরিমাণবাড়ানোর “মৌখিকপ্রশিক্ষণ”-এআপনাকেস্বাগতজানাই।
00:08 এইপ্রশিক্ষণে,আমরাশিখবকিভাবেবিভিন্নশারীরিকউপায়েরব্যবহারকরেবুকেরদুধেরপরিমাণবাড়ানোযায়।
00:17 আসুন, আমরা “ক্যাঙ্গারুমায়েরযত্ন” দিয়ে শুরু করি।
00:20 এই পদ্ধতিতে, যতক্ষণ সম্ভব বাচ্চাকে মায়ের শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকবে।
00:27 মনে রাখবেন, “ক্যাঙ্গারু মায়ের যত্ন” পদ্ধতিটি একইসিরিজেরআরেকটি প্রশিক্ষণে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
00:34 এরপর, আমরা “দুধের ধারা বের হওয়ারঅনায়াস প্রতিক্রিয়া” (লেট ডাউন রিফ্লেক্স) বা “অক্সিটোসিনের প্রতিক্রিয়া” কিভাবে ভালো করা যায় তা শিখব।

তার আগে, আমাদের জানতে হবে “অক্সিটোসিন” কি?

00:44 “অক্সিটোসিন” হল একটা হরমোন যা “দুধের ধারারঅনায়াসপ্রতিক্রিয়া”-কে বাড়িয়ে দেয়, যার কারণে শুধুমাত্র বাচ্চার কথা চিন্তা করলেই দুধ ঠেলে বেরিয়ে আসে।
00:54 তাই, দুধ ঠেলে বার করার জন্য, প্রথমে মাকে আরাম করতে হবে এবং তারপরে শান্তভাবে তার বাচ্চার দিকে তাকাতে হবে।
01:01 তিনি বাচ্চার না-ধোয়া জামাকাপড় শুঁকতে পারেন এবং কোনও শান্ত মধুর গানবাজনাও শুনতে পারেন।
01:09 অথবা, অন্য যে উপায়গুলোতে দুধ ঠেলে বেরোতে পারে সেগুলো হল–

গরম জল সেঁক,

01:16 বুকে ও পিঠে মালিশ করা।
01:20 আসুন, দেখি কিভাবে গরম জলের সেঁক দিতে হয়।
01:24 মাকে গরম জলে চান করতে হবে বা বুকের ওপর একটা গরম কাপড় রাখতে হবে।
01:30 এই দুই উপায়ই বুকে দুধআসতেসাহায্য করবে এবং দুধ ঠেলে বার করবে।
01:36 আসুন, এরপর মালিশ করার ব্যাপারে শিখি।
01:40 পিঠেআর ঘাড়ে মালিশ করলে দুধ অনায়াসে আসতে পারে, কারণ একই স্নায়ু পিঠ আর বুকের দিকেও যায়।
01:49 খাওয়ানোর আগে বুকে মালিশ করলে দুধের নালীগুলির পথ খুলে যায়।
01:53 ফলে, দুধের ধারা অবাধে আসবে এবং স্তন সম্পূর্ণভাবে/ পুরোপুরি খালি হয়ে যাবে, সেজন্য দুধের উৎপাদন বেশি হবে।
02:01 বুকের দুধের পরিমাণ বাড়াবার আরেকটি উপায় হল বাচ্চাকে ঠিকভাবে চুষতে উৎসাহ দেওয়া।
02:09 আসুন, দেখে নিই এটি কিভাবে করতে হবে।
02:12 স্তনের বোঁটা বাচ্চার ওপরের ঠোঁটে ঘষুন। এটি বাচ্চাকে চওড়াভাবে মুখ খুলতে ও সঠিকভাবে ঠোঁট লাগাতে সাহায্য করে আর বাচ্চা বেশি পরিমাণ দুধ পায়।
02:24 বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে, এগুলি নিশ্চিত করুন-
02:27 মা বাচ্চার সম্পূর্ণ শরীরকে অবলম্বন দেবে,
02:30 বাচ্চার পেট আর মায়ের পেট ছুঁয়ে থাকবে,
02:34 বাচ্চার মাথা, ঘাড় এবং শরীর সবসময় সোজা লাইনে থাকবে
02:39 বাচ্চার নাক মায়ের স্তনের বোঁটার সঙ্গে একই লাইনে থাকবে,
02:43 বাচ্চার চিবুক এগিয়ে এনে মায়ের বুকের মধ্যে ঠেলে দিতে হবে, নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে বাঁকানো হবে।
02:50 দেখতে হবে যে, ঠোঁট লাগানোর সময়ে বাচ্চাএরিওলার (বোঁটারচারপাশেরকালোঅংশ) নিচেরদিকেরবেশিরভাগটাইমুখেরভেতরনেয়,যাতেএরিওলার ওপরদিকেরঅংশটানিচেরদিকেরচেয়েবেশিদেখাযায়।
03:01 খেয়ালরাখুন, এরিওলা হল বোঁটার চারপাশের কালো অংশ,
03:05 আসুন, এরপর আমরা আরেকটা শারিরিক উপায় দেখে নিই, যেটি হল স্তনে হালকা চাপ দেওয়া।
03:12 এটি করার জন্য, দুধ খাওয়ানোর সময়ে স্তনটিকে হালকাভাবে ধরুন এবং চাপ দিন।
03:17 দুধের গ্রন্থিতে হালকাভাবে চাপ দিলে আরও দুধ বেরোতে পারে।
03:22 এটির ফলে প্রত্যেকবার চোষার সময়ে বাচ্চাকে আরও দুধ পেতে সাহায্য করবে।
03:27 স্তনে অল্প চাপ দেওয়ারজন্য একই সিরিজের আরেকটি প্রশিক্ষণে বর্ণনা দেওয়া হয়েছে।
03:33 একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল, রাতের বেলায় দুধ খাওয়ানো জরুরি হয়। আসুন, বুঝে নিই তার কারণ।
03:41 রাতের বেলা বুকের দুধে “প্রোল্যাকটিন” হরমোনের পরিমাণ বেশি থাকে।
03:46 বাচ্চাকে যখন রাতেরবেলা বেশি খাওয়ানো হয়, তখন দুধের পরিমাণ বেশি হয়,যার ফলে বাচ্চার বাড়বৃদ্ধি ভালো হয়।
03:56 বুকের দুধের পরিমাণ বাড়ানোর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল বারেবারে দুধ খাওয়ানো।
04:04 বাচ্চাকে ২৪ ঘণ্টায় অন্তত ১০-১২ বার খাওয়ানো উচিৎ। এবং, রাতের বেলা অন্তত ২-৩ বার খাওয়ানো জরুরি।
04:15 বাচ্চাকে ক্ষুধার্ত রাখবেন না।
04:17 খিদে পাওয়ার গোড়ারদিকের সংকেতগুলি খেয়াল রাখুন, যেমন বাচ্চা হাত-পা ছোড়ে।
04:24 চিবুক স্পর্শ করে এরকম যেকোনো জিনিসের দিকে বাচ্চা ঘুরে যায় আরমুখ হাঁ করে।
04:30 মনে রাখবেন, বাচ্চার কেঁদে ওঠা খিদে পাওয়ার শেষ সংকেত। তাই, খিদে পাওয়ার গোড়ার দিকের সংকেতে বাচ্চাকে খাইয়ে দিন।
04:39 হাইন্ড-মিল্ক বের করাও খুব জরুরি হয়। হাইন্ড-মিল্ক হল সেই দুধ যা স্তনের পেছনের দিকে থাকে।
04:49 এটি চর্বি দিয়ে তৈরি হয়। এটি অনেক বেশি গাঢ় হয়।
04:53 সুতরাং, মায়ের একটি স্তন সম্পূর্ণ খালি হলে তবেই অন্য স্তনটি দিতে হবে।
05:00 আসুন, এখন বাচ্চাকে খাওয়ানোর পর বুকে চাপ দিয়ে দুধ বের করে দেওয়া নিয়ে কথা বলি।
05:06 এটি হল মায়ের নিজের হাতে চাপ দিয়ে দুধ বের করে নেওয়া।
05:11 এটি করার জন্য, মা এরিওলার প্রান্তেআর স্তনের চামড়ায়তার আঙুলগুলো এবং বুড়ো আঙুল রাখেন।
05:19 তারপর, এরিওলাটি বুকের দিকে হালকাভাবে চাপ দিয়ে ধরেন, চাপ দেন এবং ছেড়ে দেন।
05:26 বাচ্চা যদি সম্পূর্ণভাবে চুষে নিয়ে থাকে, তাও এটি করা হয়।
05:31 দুবার খাওয়ানোর মাঝেও মা দুধ বার করে নিতে পারেন।
05:35 বারবার দুধ বের করে নেওয়ার ফলে বুকের দুধের পরিমাণ বাড়ে।
05:40 এইগুলি সবসময় মনে রাখবেন: কৃত্রিম স্তনের বোঁটা (আর্টিফিশিয়াল নিপল) আর বাজারের দুধ (প্যাকেট বা কৌটোর দুধ) খাওয়ানো এড়িয়ে চলুন, কারণ এগুলি মায়ের দুধ কমিয়ে দেয়।
05:50 গরুর বা ছাগলের বা বাজারের দুধ খাওয়ানো এড়িয়ে চলুন।
05:54 স্তনের বোঁটা ঢেকে রাখা এড়িয়ে চলুন, কারণ এর ফলে বোঁটা বুঝতে বাচ্চার সমস্যা হয়।
05:59 মনে রাখবেন, বাচ্চা যখনই খিদে পাওয়ার গোড়ার দিকের সংকেতগুলি দেখাবে, তখনই তাকে বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।
06:06 স্বাস্থ্য কর্মী সঠিকভাবে ঠোঁট লাগাবার পদ্ধতি শিখিয়ে মায়েরআত্মবিশ্বাস তৈরি করবেন।
06:12 প্রতিদিন বাচ্চার ওজন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম বাড়ছে কিনা নিশ্চিত করতে নিয়মিত বাচ্চার ওজন খেয়াল রাখুন।
06:21 বুকের দুধের পরিমাণ বাড়ানোর জন্য শারীরিক উপায়গুলির ওপর আমাদের এই প্রশিক্ষণ এখানেই শেষ হল। এখানে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

Contributors and Content Editors

Debosmita, Sakinashaikh