Health-and-Nutrition/C2/Nipple-conditions/Bengali

From Script | Spoken-Tutorial
Revision as of 17:24, 31 July 2020 by Debosmita (Talk | contribs)

(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)
Jump to: navigation, search
Time
Narration
00:01 দুধ উৎপাদনকারী মায়েদের “স্তনের বোঁটার অবস্থা” বিষয়ে “মৌখিক প্রশিক্ষণ”-এ আপনাকে স্বাগত জানাই।
00:06 এই প্রশিক্ষণে, আমরা শিখব – ঘা হওয়া বা ফাটা বোঁটা আর
00:11 চ্যাপটা বা ভেতর দিকে মুখ বোঁটা সম্বন্ধে।
00:15 বোঁটার প্রথম সমস্যা হল – ঘা হওয়া বা ফেটে যাওয়া।
00:20 এইরকম অবস্থায় মায়ের স্তনের বোঁটা ফেটে যায় আর রক্ত পড়ে।
00:26 এর ফলে বোঁটা চুলকোয় আর শুকিয়ে যায়।
00:30 এবার, আমরা ঘা হওয়া বা ফাটা বোঁটার নানান কারণ নিয়ে কথা বলব, যেগুলো হল –
00:36 বোঁটা থেকে খাওয়ানো,
00:38 ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের কারণে সংক্রমণ হওয়া,
00:41 প্রত্যেকবার খাওয়ানোর পর বোঁটা পরিষ্কার করার অভ্যেস, আর
00:45 বাচ্চার জিভ আটকে থাকে।
00:47 আসুন, আমরা বোঁটা থেকে খাওয়ানো সম্বন্ধে কথা বলি।
00:50 বোঁটায় ঘা বা ফাটার প্রথম ও প্রধান কারণ হল বোঁটা থেকে খাওয়ানো।
00:56 বোঁটা থেকে খাওয়ানোর সময়ে, বাচ্চার মুখের ভেতরের শক্ত অংশের সঙ্গে বোঁটার ঘষা লাগে।
01:03 বাচ্চা জিভ আর মুখের শক্ত অংশের মাঝে বোঁটাটা চেপে ধরে।
01:08 এই চেপে ধরার জন্য বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে ব্যথা হয় আর ফলে বোঁটায় ঘা বা ফাটা হয়।
01:17 বাচ্চার ঠোঁট ঠিকভাবে না লাগালে বোঁটা থেকে খেতে থাকে।
01:20 তাই, বোঁটায় ঘা বা ফাটা এড়াতে বাচ্চার ঠোঁট সঠিকভাবে লাগানো খুব জরুরি।
01:29 খেয়াল রাখবেন, একই সিরিজের আরেকটা প্রশিক্ষণে আমরা ঠিকভাবে ঠোঁট লাগানোর পদ্ধতি নিয়ে কথা বলেছি।
01:37 মনে রাখবেন, ঠিকভাবে ঠোঁট লাগানোর সময়ে বোঁটায় ঘা বা ফাটা থাকলে ব্যথা লাগবে।
01:43 মা যদি ঠিকভাবে ঠোঁট লাগানোর পদ্ধতি মেনে চলতে পারেন, তাহলে ধীরে ধীরে ব্যথা লাগা বন্ধ হয়ে যাবে।
01:51 এরপর হল ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের সংক্রমণ।
01:56 মায়ের যদি ব্যাকটেরিয়া বা ছত্রাকের কারণে কোনও সংক্রমণ থাকে, তাহলে ডাক্তার দেখানো উচিৎ।
02:03 তারপর, কোনও কোনও মায়ের অভ্যেস থাকে প্রত্যেকবার খাওয়ানোর আগে বোঁটা পরিষ্কার করে নেওয়া।
02:09 এতে বোঁটা শুকিয়ে যায়।
02:13 তাই, এই অভ্যেস ছেড়ে দেওয়া দরকার।
02:16 মনে রাখবেন, স্নানের সময়ে মা বোঁটা পরিষ্কার করতে পারেন।
02:21 যদিও, বোঁটা যদি ফাটা থাকে, তাহলে মায়ের উচিৎ প্রত্যেকবার খাওয়ানোর পর সেটা পরিষ্কার করে নেওয়া।
02:28 পরিষ্কার করার পর, মা নিজের ক্ষতের ওপর স্তনের পেছনের দিকের দুধ লাগিয়ে নেবেন।
02:32 কারণ, ওই দুধে ক্ষত সারিয়ে তোলার ও রোগজীবাণুর সঙ্গে লড়াই করার জিনিস থাকে।
02:39 ফলে, বাচ্চার মুখের জীবাণু ইত্যাদি বোঁটার ফাটার ভেতরে ঢুকতে পারে না।
02:46 এরপর, বাচ্চার জিভ আটকানো নিয়ে কথা বলি।
02:50 জিভ আটকে থাকা বা “টাং টাই” হল যখন বাচ্চার জিভের আগা তার মুখের ভেতরে নীচের দিকে লেগে বা জুড়ে থাকে।
02:58 এটা খুব কমই দেখা যায়।
03:01 সাধারণত জিভ আটকে থাকা বাচ্চাদের ক্ষেত্রে বোঁটা দিয়ে খাওয়ানো দেখা যায়।
03:06 যদি বাচ্চার জিভ এভাবে আটকে থাকে, তাহলে কেবল ঠিকভাবে ঠোঁট লাগালেই হবে না। অপারেশন করতে হবে।
03:16 তাই, এরকম অবস্থায়, মায়ের উচিৎ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া।
03:22 এবার, আমরা বোঁটায় ঘা বা ফাটার চিকিৎসা নিয়ে কথা বলব।
03:27 মায়ের বোঁটায় যদি ঘা বা ফাটা থাকে, তাহলে স্বাস্থ্যকর্মীর উচিৎ - মায়ের স্তন ও বোঁটা পরীক্ষা করা,
03:37 মাকে বলা যাতে তিনি বুকের দুধ খাওয়ানোর আগে কিছুটা দুধ নিজের হাতে চিপে বের করে দেন।
03:42 এতে স্তন নরম হয়ে যাবে আর বাচ্চা সহজে লেপটে যেতে পারবে।
03:47 এগুলো ছাড়া, হাতে চিপে দুধ বের করে দিলে সংক্রমণের ভয়, বোঁটায় ফুটো বা চিড়, আর মাস্টাইটিস হওয়ার ভয় কমে যায়।
03:55 তারপর মাকে দেখিয়ে দিন কিভাবে নিজের স্তনের সঙ্গে ঠিক করে বাচ্চাকে লেপটে নেবেন।
04:01 মনে রাখবেন, বুকের দুধের যোগানের অন্যতম বিষয় হল বারেবারে বুকের দুধ খাওয়ানো।
04:09 তাই, মা বুকের দুধ খাওয়ানো বন্ধ করবেন না।
04:13 বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে – যেদিকে কম ব্যথা আছে সেদিক দিয়ে খাওয়াতে শুরু করবেন।
04:20 যদি বুকের দুধ খাওয়াতে এখনও ব্যথা করে, তাহলে মা হাতে চিপে বুকের দুধ বের করে একটা চামচ বা ঝিনুক দিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াবেন।
04:32 আর, আগে যেমন বলা হয়েছে, প্রত্যেকবার খাওয়ানোর পর, স্তনের পেছনদিকের দুধ কয়েক ফোঁটা নিয়ে ক্ষতের ওপর লাগিয়ে নেবেন।
04:42 মনে রাখবেন, বোঁটায় ঘা ও ফাটা থাকলে বা ভালো বোঁটাতেও এগুলো কখনও ব্যবহার করবেন না –
04:49 সাবান, তেল, লোশন, মলম আর সুগন্ধ।
04:54 এগুলোতে ক্ষতি বা যন্ত্রণা হতে পারে।
04:57 মায়ের বোঁটায় যদি ঘা বা ফাটা থাকে, তাহলে এতে আরও ক্ষতি হবে।
05:03 খুব খারাপ অবস্থা হলে, মায়ের উচিৎ ডাক্তার বা স্বাস্থ্যকর্মীর পরামর্শ নেওয়া।
05:09 বোঁটায় ঘা বা ফাটা আটকানোর জন্য, জন্ম দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বুকের দুধ খাওয়াতে শুরু করুন।
05:15 বুকের দুধ খাওয়ানোর সময়ে নিশ্চিত করুন যে বাচ্চা সবসময়ে ভালোভাবে ঠোঁট লাগিয়েছে।
05:22 এরপর আমরা যেটা নিয়ে কথা বলব, তা হল চ্যাপটা বা ভেতর দিকে মুখ বোঁটা সম্বন্ধে।
05:28 চ্যাপটা বোঁটাগুলো “এরিওলা”-র সমান থেকে ওপরের দিকে ঠেলে ওঠে না।
05:33 আর, ভেতর দিকে মুখ বোঁটাগুলো সাধারণত ভেতরের দিকে মুখ করে থাকে।
05:38 মায়ের জন্য এটা বোঝা খুব দরকার যে চ্যাপটা বা ভেতর দিকে মুখ বোঁটা থাকলে বুকের দুধ খাওয়াতে কোনও বাধা হয় না।
05:48 কারণ, ঠিকভাবে ঠোঁট লাগালে, বাচ্চা বোঁটায় নয়, এরিওলাতে ঠোঁট লাগায়।
05:56 খেয়াল রাখবেন, বোঁটা চ্যাপটা বা ভেতর দিকে মুখ হলে, জন্ম দেওয়ার পর প্রথম সপ্তাহে মায়ের সাহায্যের দরকার হয়।
06:03 এই সময়ে, স্বাস্থ্যকর্মী ঠিকভাবে বাচ্চার ঠোঁট ঠিকভাবে লাগানোর জন্য মাকে দেখিয়ে দেবেন।
06:08 এতে মায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়বে।
06:11 মনে রাখবেন, মায়ের যদি চ্যাপটা বা ভেতর দিকে মুখ বোঁটা হয় তাহলে বাচ্চার সঙ্গে লেপটে থাকার সেরা উপায়গুলো হবে – আড়াআড়ি দোলনার মতো ধরে থাকা,
06:22 ফুটবলের মতো ধরা আর আধশোয়া হয়ে বা হেলান দিয়ে থাকা।
06:26 আগে একটা প্রশিক্ষণে যেমন বলা হয়েছে, যেকোনো রকমের ধরে থাকায়, এটা সবথেকে জরুরি যে মা যেন ঠিক করে নিজের স্তন ধরে থাকেন।
06:37 যেখানে বাচ্চার ঠোঁট আর মায়ের আঙুল একই দিকে থাকবে।
06:42 খেয়াল রাখবেন, বাচ্চা ঠিকভাবে ঠোঁট না লাগালে বোঁটায় ঘা বা ফাটা হবে।
06:47 মনে রাখবেন, বাজার থেকে খাওয়ানোর জন্য দুধের বোতল বা বোঁটার ঢাকনা ব্যবহার করবেন না।
06:52 এতে চ্যাপটা বা ভেতর দিকে মুখ বোঁটা থেকে দুধ খেতে বাচ্চার অসুবিধা হবে।
07:00 মায়ের উচিৎ বাচ্চাকে প্রচুর পরিমাণে তার নিজের ছোঁয়া দেওয়া।
07:04 এতে মায়ের অক্সিটোসিনের প্রতিক্রিয়া ভালো হয় আর বুকের দুধ সহজে বেরিয়ে আসে।
07:12 সবসময়ে মনে রাখবেন, বেশিরভাগ সময়ে বোঁটার এই সমস্যাগুলোকে সামলানোর জন্য আসল কথা হল বাচ্চার ঠোঁট ঠিকভাবে লাগানো।
07:19 দুধ উৎপাদনকারী মায়েদের বোঁটার সমস্যা বিষয়ে প্রশিক্ষণ এখানে শেষ হল।

আপনাদের অনেক ধন্যবাদ।

Contributors and Content Editors

Debosmita, Sneharout321