Health-and-Nutrition/C2/Kangaroo-Mother-Care/Bengali

From Script | Spoken-Tutorial
Revision as of 12:42, 3 July 2019 by Sneharout321 (Talk | contribs)

(diff) ← Older revision | Latest revision (diff) | Newer revision → (diff)
Jump to: navigation, search
Time
Narration


00:00 “ক্যাঙ্গারুমায়েরযত্ন” বিষয়ে মৌখিক প্রশিক্ষণে আপনাকে স্বাগতজানাই।
00:05 এই প্রশিক্ষণটিতে আমরা শিখব -
00:08 “ক্যাঙ্গারুমায়েরযত্ন”কাকে বলে?
00:10 উপাদান, গুরুত্ব এবং
00:13 এটির পদ্ধতি
00:17 আসুন,“ক্যাঙ্গারুমায়েরযত্ন”-এরগোড়ারকথা জেনে নিই।
00:22 এই নামটা শুনলেই যেমন বোঝা যায় –
00:24 এই কাজটি বাচ্চাকে মায়ের শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে রাখার সঙ্গে জড়িত।
00:29 আর, এটি “কেএমসি” নামে জনপ্রিয়।
00:32 মনে রাখবেন, বাচ্চা জন্মানোর পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব “কেএমসি” দেওয়া দরকার।
00:39 বিশেষকরেযেসববাচ্চারজন্মের সময়ে ওজনকম হয়,তাদেরজন্য এটি দিতে বলা হয়-
00:44 জন্মের পর যাদের ওজন ২.৫ কিলোগ্রামের কম হয়, আর
00:48 যাদের সর্বদা চোখে চোখে রাখার প্রয়োজন নেই
00:52 যদিও, এটি সমস্ত সাধারণ, সুস্থ, পুরো মেয়াদের পরে জন্ম নেওয়া বাচ্চাদের জন্যও ব্যবহার করা যেতেপারে।
00:59 “কেএমসি”-তে দুটি প্রধান জিনিস আছে:
01:03 লাগাতার এবং অনেকক্ষণ ধরে মা আর বাচ্চা দুজনে একে অন্যের শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে।
01:09 এবং কেবল মায়ের দুধ খাওয়ানো
01:13 আসুন, এই জিনিসগুলি নিয়ে কথা বলি।
01:17 প্রথম জিনিসটি হল শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে রাখা।
01:21 এটি লেট ডাউন রিফ্লেক্স বা অনায়াসে দুধ বের হওয়ার প্রতিক্রিয়াকে আরও ভালো করে।
01:24 আর,তার ফলে বুকের দুধের উৎপাদন বাড়ায়।
01:28 দুধ বের হওয়ার অনায়াস প্রতিক্রিয়া (লেট ডাউন রিফ্লেক্স ) সম্বন্ধে এই সিরিজেরই আরেকটি প্রশিক্ষণে বলা হয়েছে।
01:34 দ্বিতীয় জিনিসটি হল কেবল মায়ের দুধ খাওয়ানো।
01:38 মনে রাখবেন যে-
01:40 প্রথম ৬ মাসের জন্য কেবল মায়ের দুধ খাওয়ানোর কথা বিশেষভাবে বলা হয়।
01:45 আসুন, এরপর আমরা “ক্যাঙ্গারু যত্ন” করা কেন দরকার সেটি নিয়ে কথা বলা।
01:50 “কেএমসি”-র সময়ে অনেকক্ষণধরে মা নিজের বাচ্চার শরীরের সঙ্গে জড়িয়ে থাকলে বাচ্চার শরীরের উষ্ণতা ভালো থাকে।
01:57 আর, বাচ্চা নিজেকে আরও বেশি নিরাপদ মনে করে।
02:01 “কেএমসি” এগুলো কমিয়ে দেয় -
02:03 বাচ্চার বারবার অসুখ বা রোগ হওয়া,আর
02:05 “অ্যাপনিয়া” বা ঘুমোনোর সময়ে নিঃশ্বাস আটকে যাওয়ার হার।
02:09 “অ্যাপনিয়া” বলতে অনেকক্ষণ নিঃশ্বাস আটকে যাওয়া বোঝায়।
02:13 এগুলি ছাড়াও-
02:15 “কেএমসি” বারবার বুকের দুধ খাওয়ানো এবং খাওয়ানোর সময় বাড়ায়।
02:20 আর, এটি মা ও বাচ্চার মধ্যে মানসিক বন্ধন মজবুত করে।
02:26 “কেএমসি” বাচ্চাকে -
02:28 অন্যান্য প্রচলিত উপায়ের থেকেওজন বাড়াতে সাহায্য করে। অন্যান্য উপায়, যেমন -
02:33 র‍্যাডিয়ান্ট ওয়ার্মার-এ বা কৃত্রিম উপায়ে বাচ্চার শরীরের উষ্ণতা একই রাখার পদ্ধতি।
02:36 যেটি বাচ্চা ও তার মায়ের জন্য চাপ তৈরি করে।
02:40 এটি মায়ের তৃপ্তি ও আত্মবিশ্বাসও বাড়ায় -
02:45 কারণ, তিনি বাচ্চার জন্য বাড়তি সেবা করেন।
02:49 মজার ব্যাপার হল, মাকে ছাড়াও “কেএমসি” দেওয়া যেতে পারে -
02:54 যেমন, বাবা, বা
02:56 পরিবারের যেকোনো প্রাপ্তবয়স্ক সদস্য।
02:58

এখন, যারা “কেএমসি” দিতে পারেন তাদের যে বিষয়গুলি মেনে চলতে হবে সেগুলি নিয়ে আমরা কথা বলব:

03:04 যিনি “কেএমসি” দেবেন তাকে সুস্থ হতে হবে এবং তার কোনও অসুখ থাকবে না।
03:09 তাকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যবিধিগুলি অভ্যাস করতে হবে, যেমন-
03:14 হাত ধোওয়া,
03:16 প্রতিদিন স্নান করা,


নখ কাটা,

03:18 চুল বাঁধা বা আঁচড়ানো
03:20 আর, পরিষ্কার জামাকাপড় পরা।
03:22 তিনি কোনও গয়নাগাটি, ঘড়ি ওকার বা সুতোর মতো কিছু পরবেন না-
03:26 কারণ, এগুলি স্বাস্থ্যবিধি বজায় রাখতে বাধা দিতে পারে।
03:31 আর, এগুলিতে বাচ্চা আঘাত পেতে পারে।
03:35 আসুন, এখন যিনি “কেএমসি” দিচ্ছেন তিনি কি ধরনের জামাকাপড় পরবেনতা নিয়ে কথা বলি-
03:42 জামাকাপড় হালকা ও সামনের দিকে খোলা হবে।
03:46 যেমন, শাড়ি-ব্লাউজ বা সামনের দিকে খোলা লম্বা জামা।
03:51 মনে রাখবেন,

যিনি “কেএমসি” দিচ্ছেন তিনি “কেএমসি” মুড়ে রাখার জন্য সামনের দিকে খোলা লম্বা জামা বা ব্লাউজ পরবেন।

03:58 “ক্যাঙ্গারু” থলে বা মোড়াবার জিনিস বাজার থেকেও কিনে আনা যেতে পারে।
04:04 বাড়তি সময়ের জন্যে “কেএমসি” করতে হলে এগুলো কাজে লাগে।
04:09 এর বদলে, যিনি “কেএমসি” দিচ্ছেন তিনি পরিষ্কার নরম সুতির কাপড় ব্যবহার করতে পারেন।
04:16 আবার, “কেএমসি”-র সময়ে বাচ্চা -
04:19 একটি টুপি আর লেংটি পরে থাকবে।
04:22 যদি বাচ্চা “কেএমসি”-র সময়ে পায়খানা-পেচ্ছাপ করে, তাহলে
04:27 তাকে পুরোপুরি পরিষ্কার ও শুকনো করে নিতে হবে।
04:30 এরপর, আমরা “ক্যাঙ্গারু যত্ন”-এর পদ্ধতি নিয়ে আরও বিস্তারিত জানব।
04:36 প্রথমে, মাকে সোজা হয়ে দাঁড়াতে হবে।
04:40 তারপরে, স্বাস্থ্যকর্মী বা পরিবারের কোনও একজন ধাপে ধাপে নিচের কাজগুলি করবেন -
04:48 বাচ্চার শরীরের নিচের দিক ও মাথাটা ধরে
04:51 বাচ্চাকে সোজা করে মায়ের কাপড় না পরাদুটো স্তনের মাঝখানে রাখতে হবে।
04:56 তারপরে, বাচ্চার মাথাটা একদিকে ফেরাতে হবে।
05:00 নিশ্চিত করুন,

বাচ্চার মাথাটা যেন পেছনের দিকে সামান্য হেলানো থাকে।

05:04 এই অবস্থায় -

বাচ্চার নাকে হাওয়া চলাচল করতে পারবে

05:08 আর, বাচ্চা মায়ের চোখের দিকে তাকিয়ে থাকতে পারবে।
05:14 এরপর,বাচ্চারপাছাবাইরেরদিকেসামান্যহেলিয়েরাখুন।
05:18 মনেরাখবেন-

বাচ্চার হাতদুটো মায়ের স্তনের ওপরেথাকবে, আর

05:23 পাদুটো মায়ের স্তনের নিচে থাকবে, আর
05:27 বাচ্চার তলপেট মায়ের বুকে থাকবে।
05:29 কাপড় দিয়ে মোড়ার আগে -
05:32 ঠাণ্ডার সময়ে বাচ্চাকে একটি কম্বল ঢাকা দিন।
05:36 এতে মা ও বাচ্চা দুজনেই উষ্ণ থাকবে।
05:39 এরপর,

মায়ের ও বাচ্চার বুক ও তলপেট একটি কাপড় দিয়ে মুড়ে দিন।

05:45 মুড়ে দেওয়ার সময়ে নিশ্চিত করুন -
05:47 কাপড়টার মাঝখানটা যেন বাচ্চার ওপর থাকে।
05:50 এবং কাপড়টার দুই ধার
05:53 মায়ের বগলের তলা দিয়ে থাকবে
05:56 আর, পিঠের দিকে আড়াআড়ি ভাবে থাকবে।
05:59 এরপর,কাপড়টার শেষ দুটো দিক সামনের দিকে নিয়ে আসুন।
06:03 কাপড়টার এই শেষ দিক দুটো বাচ্চার পাছার নীচে সাবধানে গিঁট দিয়ে বাঁধুন।
06:09 এতে আরাম হবে আর বাচ্চাকে ধরে রাখতে সাহায্য করবে।
06:14 এতে বাচ্চার পিছলে যাওয়াও আটকাবে।
06:17 মনে রাখবেন

মায়ের অবস্থা ভালো হয়ে গেলে,তাকে নিজেকেই বাচ্চাকে কাপড় দিয়ে মুড়তে শিখতে হবে।

06:24 একই সিরিজের আরেকটি প্রশিক্ষণে “কেএমসি”-র সময়ে নিজে নিজে মোড়ানোর পদ্ধতি সম্বন্ধে বলা হবে।
06:32 এটি মায়ের আত্মবিশ্বাস বাড়াবে এবং তাকে স্বাবলম্বী করে তুলবে।
06:37 যদি মায়ের কাপড় ব্যবহার করতেঅসুবিধাহয়, তাহলে তিনি স্ট্রেচি ব্যান্ড বা টেনে লম্বা করা যায় এরকম বাঁধন ব্যবহার করতে পারেন।
06:43 এটি সহজ এবং ব্যবহার করার জন্য আরামদায়ক।
06:46 স্ট্রেচি ব্যান্ড ব্যবহার করার সময়ে -
06:49 বাচ্চার মাথাকে ধরে রাখার জন্য বাঁধনটির শেষ দিকতার কানের ওপর দিয়ে দিন।
06:54 তারপরে, বাচ্চার মাথা সামান্য কাত করুন -
06:57 ভালোভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য,আর
06:59 আগে যেমন বলা হয়েছে, মায়ের চোখের দিকে তাকানোর জন্য।
07:04 মোড়ানোর কাপড় বা স্ট্রেচি ব্যান্ড খুব আঁটসাঁট বা খুব আলগা হবে না।
07:11 এটি বাচ্চাকেভালোভাবে নিঃশ্বাস নেওয়ার জন্য আরামদায়ক হতে হবে।
07:15 মনে রাখবেন, বাচ্চাকে “কেএমসি” অবস্থায় কোথাও নিয়ে যাওয়ার সময়ে, মা যেন -
07:20 হাঁটতে,

দাঁড়াতে, বসতে,বা

07:23 অন্যান্য কাজকর্ম করতে পারেন।
07:26 যদি মা খুব আরামদায়ক অবস্থানে থাকেন, তাহলে
07:29 তিনি “ক্যাঙ্গারু যত্ন”-এর সময়ে হেলান দিয়ে বা আধা-হেলান দিয়ে ঘুমোতেও পারবেন।
07:35 আসুন, এখন “কেএমসি”-র সময়ে বাচ্চাকে কিভাবে খাওয়াবেন, তা নিয়ে কথা বলি।
07:40 মা বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন,
07:43 মোড়ানোর কাপড়টা সামান্য আলগা করে, আর
07:46 বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য বাচ্চাকে ঠিকভাবে ধরে রাখতে হবে
07:50 বা, তিনি হাতের চাপে বুকের দুধ বার করতে পারেন, আর
07:54 বাচ্চাকে একটি ঝিনুক বা চামচ দিয়ে খাওয়াতে পারেন।
07:57 মনে রাখবেন,

বাচ্চার ওজন যেন প্রতিদিন ২৫ থেকে ৩০ গ্রাম বাড়ে।

08:03 আশা করা হয় যে, একমাসে বাচ্চার ওজন ৯০০ থেকে ১,০০০ গ্রাম পর্যন্ত বাড়বে।
08:10 সুতরাং, মা বা স্বাস্থ্যকর্মীকে -
08:13 নিয়মিত চেক-আপেরসময়ে বাচ্চার ওজন খেয়ালরাখতে হবে।
08:17 যদি বাচ্চারওজন যথেষ্ট না বাড়ে
08:21 স্বাস্থ্যকর্মী মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পদ্ধতি পরীক্ষা করবেন, বা
08:25 বাচ্চা কতবার পেচ্ছাপ করছে তা পরীক্ষা করবেন
08:28 ঠিক করে বাচ্চার ঠোঁট লাগানোরব্যাপারে মাকে পরামর্শ দেবেন।
08:32 বুকের সাথে গভীর সংযোগ বা ঠিক করেঠোঁট লাগানো সম্বন্ধে এই সিরিজের আরেকটি প্রশিক্ষণে বলা হয়েছে।
08:39 এরপর,

আসুন, শিখে নিই বাচ্চাকে কিভাবে মুড়ে রাখা কাপড় থেকে বের করবেন -

08:44 প্রথমে, মাকে সোজা হয়ে বসতে হবে।
08:48 তারপর, একটা হাত দিয়ে গিঁট খোলা শুরু করতে হবে, আর
08:53 মোড়ানো কাপড়টার বাইরের দিকে অন্য হাত দিয়ে বাচ্চার শরীরের নিচের দিক ধরে রাখতে হবে।
08:58 এরপরে -

আগে যে হাত দিয়ে গিঁট খোলা হয়েছিল, সেই হাত দিয়ে মুড়ে রাখা কাপড়টা আলগা করতে হবে।

09:04 তারপর -

যে কাপড়টা বাচ্চার শরীরের নিচের দিকে ধরা ছিল, সেটার নিচে দিয়ে হাত পালটে নিয়ে

09:11 অন্য হাতটা দিয়ে কাপড়ের বাইরের দিক থেকে বাচ্চার শরীরের নিচের দিক ধরে রাখুন।
09:16 তারপর, বাচ্চাকে ওপর দিকে তুলে তাকে মুড়ে রাখা কাপড় থেকে ছাড়িয়েনিন।
09:21 মনে রাখুন, এরপর বাচ্চার মাথাটাকে এমনভাবে ধরতে -
09:26 যাতে বুড়ো আঙুলটা একটা কানের পেছনে থাকে, আর
09:28 অন্য আঙুলগুলো আরেকটা কানকে ঘিরে থাকে।
09:30 “কেএমসি”-র সময়ে -
09:32 মা সঙ্গে সঙ্গেডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীকে খবর দেবেন -
09:37 যদি বাচ্চা সতেজ, সতর্ক এবং সক্রিয় না থাকে।
09:41 যদি বাচ্চা খুব তাড়াতাড়ি বা খুব থেমে থেমে নিঃশ্বাস নেয়।
09:46 যদি বাচ্চার ঠোঁট ও জিভ নীল হয়ে যায়
09:50 আর, যদি বাচ্চার পাদুটো ঠাণ্ডা হয়ে যায়
09:53 “ক্যাঙ্গারু মায়ের যত্ন” সম্বন্ধে আমাদের এই প্রশিক্ষণটি এখানেই শেষ হল।
09:58 এখানে যোগ দেওয়ার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।

Contributors and Content Editors

Debosmita, Sneharout321