Health-and-Nutrition/C2/Breastfeeding-latching/Bengali

From Script | Spoken-Tutorial
Jump to: navigation, search
Time
Narration
00:02 ‘‘ব্রেস্টফিডিং ল্যাচিং’’ -এর ‘‘স্পোকেন টিউটোরিয়ালে’’ স্বাগতম।
00:07 এই টিউটোরিয়ালে আমরা স্তনের সঙ্গে শিশুর গভীর সংযুক্তি ও বুকের দুধ খাওয়ানোর সংঘটনের হারের জন্য সঠিক ল্যাচিং কৌশল সম্পর্কে জানবো।
00:20 শুরু করার আগে, অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন যে কার্যকরভাবে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সঠিক ল্যাচিং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
02:29 বাচ্চার মুখের সঙ্গে স্তন ভালো ভাবে না লেগে থাকলে তাতে শুধুমাত্র নিপল ফিডিং বা স্তনবৃন্ত খাওয়ানোই হবে।
00:36 এর ফলে বাচ্চা খুব সামান্যই দুধ পাবে।
00:40 সেখানে স্তনের অ্যারোলার নিচের অংশ বাচ্চার সঙ্গে ভালোভাবে জুড়ে থাকলে বাচ্চা পর্যাপ্ত দুধ পাবে।
00:50 অনুগ্রহ করে মনে রাখুন, অ্যারোলা হলো স্তনবৃন্তের চারপাশের লালচে জায়গাটা।
00:56 আসুন, এবার শুরু করা যাক। শুরু করতে মাকে তাঁর বাচ্চাকে উপযুক্ত ব্রেস্টফিডিং হোল্ডে ধরতে হবে।
01:05 এই হোল্ডগুলি একই সিরিজের অন্য ভিডিওতে বিস্তারিতভাবে ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
01:11 এই টিউটোরিয়ালটি ‘‘ক্রস ক্র্যাডেল হোল্ড’’ ব্যবহার করে বোঝানো হবে।
01:16 মনে রাখবেন, সফল ল্যাচিং ও ব্রেস্টফিডিংয়ের জন্য বাচ্চাকে ভালোভাবে ধরাটা জরুরী।
01:24 এই ছবিতে, মা বাচ্চাটিকে ক্রস ক্র্যাডেল হোল্ডে সঠিকভাবে ধরে রয়েছেন।
01:31 এবং বাচ্চাটিও ব্রেস্টফিডিংয়ের জন্য ল্যাচ করতে তৈরি।
01:35 ল্যাচিংয়ের আগে, বাচ্চা যাতে হাই তোলার মতো বড় করে মুখ খোলে সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
01:42 কেন? আসুন এটা বুঝে নিই একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ কীভাবে বড়া পাও বা বার্গার খাচ্ছে তা দেখে।
01:49 বড়া পাও বা বার্গারে একটা বড় কামড় দিতে আমরা আমাদের মুখটা চওড়া করে খুলি।
01:56 একইভাবে, চওড়া বড় করে মুখটা খুললে শিশুটি স্তনের অনেকটা অংশ তার মুখে নিতে পারবে।
02:04 শিশুটিকে তার মুখ চওড়া আর বড় করে খোলার জন্য উৎসাহ দিতে, শিশুটির ঠোঁটের উপরের অংশে তাঁর স্তনবৃন্তটি হালকা করে ঘষা প্রয়োজন যাতে সে মুখটি বড় করে খোলে।
02:16 ধৈর্য্য রাখুন। অনেক সময়, শিশুটি তার মুখটি বড় করে খোলার জন্য কয়েক সেকেন্ড থেকে 2 মিনিট পর্যন্ত সময় নেয়।
02:25 মনে রাখবেন, স্তন্যপান করানোর জন্য যেকোনো অবস্থান, মায়ের আঙুল এবং বুড়ো আঙুলটি যেন স্তনটিকে ধরে রাখে, যেন শিশুর ঠোঁটের সঙ্গে সেটি সমান্তরালে থাকে।
02:36 শিশু যখন তার মুখ বড় করে খুলবে, তার ঠোঁটের নিচের অংশটি যেন স্তনবৃন্তের নিচের অংশে থাকে
02:43 এবং স্তনবৃন্তটিকে তার মুখের উপরের অংশের দিকেই রাখতে হবে এবং মুখের মাঝের অংশের দিকে নয়।
02:50 এবার মা-কে দ্রুত তার স্তনটি শিশুর মুখে দিতে হবে।
02:55 তাঁকে অবশ্যই শিশুর মাথাটি অল্প বাইরের দিকে হেলিয়ে স্তনের দিকে শিশুর গালে হালকা করে চাপ দিতে হবে।
03:02 তিনি অবশ্যই পিছন দিকে হেলে যাবেন না অথবা শিশুর মুখের নাগাল পাওয়ার জন্য নিজের স্তনটিকে ঠেলে দেবেন না।
03:08 শিশুর কাঁধের পিছন দিক থেকে হালকা চাপ দিয়ে শিশুটিকে স্তনের কাছে নিয়ে আসুন।
03:15 সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হল মায়ের স্তনবৃন্তের চারপাশের নিচের অংশটি শিশুর মুখে লেগে থাকা উচিত।
03:25 এটি শিশুর মুখের একটি আরামদায়ক জায়গায় স্তনবৃন্তটিকে পৌঁছতে সাহায্য করবে।
03:31 নিচের ঠোঁটের কাছে থাকা স্তনবৃন্তের নিচের অংশটিকে শিশুর তার জিভ দিয়ে চাপ দেওয়া উচিত।
03:37 এটি বৃহত্তর দুগ্ধনালীগুলিকে চাপ দেবে এবং আরো দুধ বেরিয়ে আসবে।
03:42 পরের পদক্ষেপটি হল, স্তনের সঙ্গে যেন শিশু খুব গভীরভাবে সংযুক্ত থাকে।
03:48 গভীর সংযোগ সুনিশ্চিত করার জন্য, মায়ের অবশ্যই নিম্নলিখিত লক্ষণগুলি লক্ষ্য করা উচিত।
03:54 শিশুর মুখ বড় করে খোলা,
03:57 শিশুর ঠোঁটের কাছে স্তনবৃ্তের
04:06 বাচ্চার নিচের চিবুকটা মায়ের স্তনের মধ্যে পুরোপুরি লেগে থাকবে।
04:11 বাচ্চাটা যেহেতু দুধ টানবে তাই তার নিচের চোয়ালটা স্পষ্টভাবে ঢুকে থাকবে।
04:16 এবং শিশুর নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে কুঁচকে থাকবে
04:22 যদিও একটা ভালোভাবে সংযুক্ত শিশুর ক্ষেত্রে এর বেশির ভাগটাই স্তনের মধ্যে লোকানো থাকবে।
04:28 এই ধরনের ক্ষেত্রে, বাচ্চার নিচের ঠোঁটের কাছের স্তনটা হালকাভাবে চাপ দিন। এবং পরীক্ষা করে দেখুন বাচ্চার নিচের ঠোঁট বাইরের দিকে কুঁচকে রয়েছে কিনা।
04:41 পরবর্তী সময়ে শিশুর নাকটা লক্ষ্য করুন। বাচ্চার নাকটা যদি মায়ের স্তনের সঙ্গে চেপে থাকে, তাহলে-
04:49 মা বাচ্চার মাথাটা সামান্য বাইরের দিকে বাঁকাতে পারেন যাতে শিশুর চিবুকটা স্তনকে আরও ধাক্কা দেয়,
04:58 এবং বাচ্চার নাক ও কপাল স্তন থেকে বেরিয়ে থাকে।
05:04 এমনটা করলে স্তনের সঙ্গে শিশুর সংযোগ আরো গভীর হবে।
05:09 বাচ্চার গোটা মুখটাই স্তন থেকে বাইরে টানবেন না।
05:13 এর ফলে শুধুমাত্র স্তনবৃন্ত খাওয়াই হবে।
05:16 মনে রাখবেন, ব্রেস্টফিডিংটা মায়ের পক্ষেও সুখকর হওয়া উচিত।
05:21 ব্রেস্টফিডিংটা মায়ের পক্ষেও সুখকর হওয়া উচিত।
05:27 তার যেন এমন বোধ না হয় যে তাঁর স্তনবৃন্তে চিমটি কাটা, টানা বা ঘষা হচ্ছে।
05:35 আসুন খারাপ সংযোগের সাধারণ কারণগুলির একটা নজর করি।
05:40 অনেক মা তাদের বাচ্চাদের মুখের মাঝখানে শুধুমাত্র স্তনবৃন্ত রাখতে তাঁদের অ্যারোলায় চেপে ধরেন।
05:48 এখানে বাচ্চার মুখ অতটা চওড়া করে খোলে না।
05:52 বাচ্চা শুধুমাত্র স্তনবৃন্তের সঙ্গেই সংযুক্ত হয়।
05:56 এখানে বাচ্চার ওপর ও নিচের ঠোঁটের কাছে অ্যারোলার সমান অংশ দেখা যায়।
06:04 বাচ্চার চিবুকটা স্তনের বাইরে থাকে।
06:07 বাচ্চাদের অবিরাম দ্রুত চুষে দুধ খাওয়ার একটা প্যাটার্ন থাকে।
06:14 চোষার সময় বাচ্চার গালগুলি টোল খায়।
06:17 সে যেহেতু দুধ খাচ্ছে তার চোয়ালটা স্পষ্টভাবে ঢুকে যায় না।
06:23 এবং, শিশুর মুখের শক্ত অংশের সঙ্গে স্তনবৃন্ত চেপে থাকে।
06:31 এটা মায়ের পক্ষে যন্ত্রণাদায়ক এবং স্তনবৃন্তে আঘাত লাগতে পারে।
06:37 এছাড়াও নিপল-ফিডিংয়ের সময় বাচ্চা মায়ের অ্যারোলার নিচের বড় দুগ্ধকোটর থেকে দুধ পায় না।
06:45 তাই, শিশুটি পর্যাপ্ত দুধ পায় না।
06:50 শিশুটি যদি শুধুমাত্র নিপল বা স্তনবৃন্ত থেকেই দুধ খায়, তাহলে
06:54 মায়ের উচিত তাঁর পরিষ্কার আঙুল বাচ্চার মুখের কোণের ভেতর ঢুকিয়ে দেওয়া।
06:59 তাঁর এটা করা উচিত, স্তনবৃন্ত থেকে বাচ্চাকে ছাড়ানোর জন্য।
07:04 তারপর তাঁর উচিত বাচ্চার ভালো ল্যাচ নিশ্চিত করতে একই স্তনে বাচ্চাকে আবার সংযুক্ত করা।
07:11 সঠিক ল্যাচিংয়ের পর, মায়ের উচিত এটা নিশ্চিত করা যাতে শিশুটি ফোর-মিল্ক ও হিন্ড-মিল্ক পর্যাপ্ত পরিমাণে পায়।
07:19 ফোর-মিল্ক হলো স্তনের সামনের অংশের মজুত জলীয় দুধ।
07:25 এটা জল ও প্রোটিন দিয়ে তৈরি হয়।
07:29 বাচ্চার বেড়ে ওঠা এবং বাচ্চাকে শক্তিশালী বানানোর জন্য এটা জরুরী।
07:36 হিন্ড-মিল্ক হলো স্তনের পেছনের দিকে মজুত গাঢ় দুধ।
07:42 এটা মূলত ফ্যাট দিয়ে তৈরি।
07:46 বাচ্চার মস্তিষ্কের বিকাশ ও ওজন বাড়ার জন্য এটা দরকারী।
07:53 বাচ্চা যাতে ফোরমিল্ক ও হিন্ডমিল্ক উভয়ই পায় তা নিশ্চিত করতে- মায়ের উচিত শিশুকে অন্য আরেকটা স্তন থেকে খাওয়ানোর আগে একটা স্তন থেকেই পুরোপুরি খাওয়ানো।
08:05 বাচ্চাকে একটা স্তন থেকেই পুরোপুরি দুধ খাওয়ানো হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করার জন্য মায়ের উচিত হাত দিয়ে তাঁর বুকের দুধ টিপে বের করা।
08:15 যদি স্তন থেকে পাতলা জলীয় দুধ বের হয়,
08:19 অথবা যদি টিপলে ঘন হিন্ড-মিল্ক বের হয়
08:24 তাহলে, মায়ের উচিত একই স্তনে বাচ্চাকে আবার যুক্ত করা।
08:29 হাত দিয়ে টিপলে যখন কয়েক ফোঁটা ঘন হিন্ড মিল্ক বের হবে,
08:35 তার মানে মা তাঁর বাচ্চাকে ওই স্তনের পুরো দুধ খাইয়ে দিয়েছেন।
08:41 তবে, অন্য স্তন দেওয়ার আগে মায়ের উচিত বাচ্চাটিকে কোলে বসিয়ে বাচ্চার ধড়টা সামান্য ঝোঁকানো এবং হাত দিয়ে বাচ্চার চোয়ালটা চেপে ধরে তাকে ঢেকুর তোলানোর চেষ্টা করা।
09:00 2 থেকে 3 মিনিটের মধ্যে বাচ্চার ঢেকুর তোলা উচিত।
09:04 পরবর্তী 5 মিনিটের মধ্যে যদি কোনো ঢেকুর না ওঠে,
09:08 তার মানে হলো বাচ্চার সঙ্গে স্তনের সংযোগটা খুব ভালো হয়েছিল।
09:14 দুধ খাওয়ার সময় বাচ্চার পেটে বাড়তি বাতাস ঢুকে যায়নি।
09:21 এবার মায়ের উচিত বাচ্চাকে আরেকটা স্তন থেকে দুধ খাওয়ানো।
09:26 বাচ্চার পেট যদি ভর্তি হয়ে থাকে তবে সে অন্য স্তন থেকে দুধ নাও খেতে পারে।
09:32 তবে মায়ের উচিত তাঁর বাচ্চাকে দুটো স্তন থেকেই দুধ খাওয়ানোর চেষ্টা করা।
09:39 এব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার বাচ্চার উপরেই ছেড়ে দেওয়া উচিত।
09:45 দুধ খেতে খেতে বাচ্চা ঘুমিয়ে পড়লে, মায়ের উচিত বাচ্চার পায়ের তলায় আলতো ধাক্কা দিয়ে তাকে জাগিয়ে দেওয়া
09:55 অথবা আলতো করে বাচ্চার পিঠে সুড়সুড়ি দেওয়া
09:59 অথবা ঢেকুর তোলানোর জন্য দেখানো অবস্থানে বাচ্চাকে বসিয়ে দেওয়া।
10:04 সঠিক কৌশলের সঙ্গে ঘন ঘন ব্রেস্টফিডিংও গুরুত্বপূর্ণ।
10:12 24 ঘন্টার মধ্যে মায়ের তাঁর বাচ্চাকে অন্তত 12 বার ব্রেস্টফিড করানো উচিত
10:17 এর মধ্যে তাঁকে রাতে অন্তত 2 থেকে 3 বার ব্রেস্টফিড করাতেই হবে।
10:24 বাচ্চাকে বুকের দুধ খাওয়াতে মায়ের উচিত বাচ্চার খিদের সঙ্কেতগুলি দেখা, যেমন – নড়াচড়া,
10:32 মুখ খোলা, মাথা ঘোরানো, তার হাতটা মুখের কাছে আনা
10:37 আঙুল চোষা ও শরীর টানটান করা।
10:42 বাচ্চা যদি বুকের দুধের জন্য কাঁদতে শুরু করে তাহলে তার মানে অনেক দেরি হয়ে গেছে।
10:49 অনুগ্রহ করে মনে রাখবেন- 2 সপ্তাহ, 6 সপ্তাহ ও 3 মাস বয়স নাগাদ বাচ্চার দ্রুত বিকাশ হয়
10:59 এবং বাচ্চার আরো দুধ লাগে।
11:05 এছাড়াও, যদি শিশুর ঘন ঘন খাওয়ানো হয় তবে মায়ের বুকের দুধের উৎপাদন বৃদ্ধি হবে
11:12 তাই যেমন দ্রুত বৃদ্ধি সময় মা কে প্রায়ই শিশুর খাওয়ানো উচিত
11:19 মনে রাখবেন, শিশুর প্রথম 6 মাসের জন্য বুকের দুধ সবচেয়ে ভাল পুষ্টি।
11:30 এবং, ভাল সংযুক্তি সফল স্তন্যপান করানো জন্য অত্যাবশ্যক
11:36 এই আমাদের এই টিউটোরিয়াল শেষে এনেছে।


11:39 আমি অন্তরা এই টিউটোরিয়ালটি অনুবাদ করেছি ।

যোগদান করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।

Contributors and Content Editors

Debosmita, PoojaMoolya, Sakinashaikh, Sneharout321